ঢাবির জহুরুল হক হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত, চ্যাম্পিয়ন শাহীন-খালিদ

ঢাবি
  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।

প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহীন আলম এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. খালিদ মহিবুল্লাহ। এতে রানার্স-আপ হয়েছেন ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মো. আলমগীর হোসেন।

উদ্বোধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। শিক্ষার্থীরা হলের ঐতিহ্যের স্মারক ভবিষ্যতেও বহন করে চলবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

মেধাচর্চার ক্ষেত্রে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে শরীর চর্চা ও ক্রীড়া কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে হবে। জ্ঞানচর্চার সাথে সাথে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি উপাচার্য আহবান জানান।

খেলা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি বিজয়ী শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। জ্ঞানচর্চা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ সকল ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিতে অধ্যাপক সামাদ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। 

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাথলেটিকস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শাহজাহান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ১৮টি ইভেন্টে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরাও অংশ নেন।