ঢাবিতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলো ছাত্রলীগ

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে সংগঠনটি। আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আমরা দেখেছি এই বাংলাদেশে যখনি কোন বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস হয় তখন কিন্তু এই দূর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে সকল দূর্যোগ মোকাবেলায় পটু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিজেদের জীবনকে বিপন্ন করে সর্বাগ্রে এগিয়ে যায়। এদেশের কোথাও আগুন লাগলে তখন ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা মানুষের সেবায় সর্বপ্রথম এগিয়ে যায়। আমাদের যখন রক্তের প্রয়োজন হয় তখনও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সবার আগে এগিয়ে আসে। সুতরাং আমরা চাই ছাত্রলীগ অতীতে যেভাবে মানবতার অগ্রদূত হয়ে মানুষের পাশে থেকেছে, সামনের দিনেও আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখবো।

সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন নতুন পাঠ্যবইয়ের বিষয়ে বলেন, “আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে কল্পনাশক্তিকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, তারা যেন মনে করে হোমওয়ার্ক করার চাইতে কল্পনা করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটিকে উপজীব্য রেখে বর্তমান সরকার পাঠ্যপুস্তক বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছে এবং শুধু জ্ঞানের জায়গায় নয় তারা যেন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হতে পারে। লিঙ্গ, বর্ণ, ধর্মের কারণে কেউ বৈষম্যের শিকার যাতে না হয়...আমরা সবাই মিলে মানুষ।”

“ট্রান্সজেন্ডারের প্রতি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি, আমাদের পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রতি সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমস্ত অশুভ, অন্ধকার অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার মানবিক তাড়না এটি এই পাঠ্যক্রমের মধ্যে রয়েছে,” বলেন সাদ্দাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেন, আমরা এই প্রজন্ম গর্বিত যারা বঙ্গবন্ধুকে পাইনি কিন্তু শেখ হাসিনার মতো একজন মহান যে তার শাসন পেয়েছি, তার অধীনে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছি, এদেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। শেখ হাসিনার ভাই হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নে আমরা অংশগ্রহণ করতে চাই। সুতরাং আজকে যে কর্মসূচি এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আপনারা যে আয়োজন করেছেন আমিও একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে এখানে হাজির হয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইশতেহার এদেশের জনগণ গ্রহণ করেছে বলেই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আবার ক্ষমতায় এনেছে। সুতরাং আজ থেকে আওয়ামী লীগের ইশতেহার এটা বাংলাদেশের ইশতেহার, বর্তমান সরকারের ইশতেহার, এদেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার ইশতেহার।

তিনি বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি কোন সময় আপনারা হতাশ হবেন না। বঙ্গবন্ধু আছে, আমাদের আদর্শ আছে, শেখ হাসিনা আছে। আওয়ামী লীগ এমন এক সংগঠন যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে যার মূল শক্তি ছিলো ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমরা যে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছি এটাই আমাদের জন্য বড় ব্যাপার।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।