মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ভরপুর কুবি, দূর্ঘটনার শঙ্কা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) একাডেমিক ভবন, হল ও প্রশাসনিক ভবনজুড়ে ভরপুর মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ভেতরের রাসায়নিকের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বিষয়টি এখনও জানে না কর্তৃপক্ষ। এদের কোনোটিতে আবার শেষ হয়ে গেছে রাসায়নিকও। ফলে যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটলে শঙ্কায় পড়তে পারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ৮ হাজার মানুষ অবস্থান করে। যেকোনো সময় অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা থেকে রক্ষার জন্যই যন্ত্রগুলো স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু প্রায় ছয়মাস আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া যন্ত্রগুলো দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল ও প্রশাসনিক ভবনের সিংহভাগ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণ হয় ৮ জুন ২০২৩ তারিখে। যন্ত্রগুলোর মেয়াদ শেষ হলেও তা রিফিল বা পরিবর্তন করা হয়নি। স্ব-স্ব স্থানে এখনো আছে যন্ত্রগুলো।

এ বিষয়ে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ইফতি বলেন, ‘আমরা মনে করি প্রশাসন সবসময় আমাদের নিরাপত্তার কথা ভাবে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের একাডেমিক ভবনগুলোর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র গুলো সিংহভাগ মেয়াদোত্তীর্ণ। এমতাবস্থায় যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে অতিদ্রুত আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ আশা করছি।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ পাটোয়ারী বলেন, স্বভাবত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো মেয়াদোত্তীর্ন হওয়ার পর ব্যাবহার না করা ভালো। কারণ উক্ত যন্ত্রের ভিতর যে রাসায়নিক উপাদানগুলো আছে সেগুলো পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে এবং বাহির থেকে কোন গ্যাস প্রবেশ করে নতুন গ্যাস তৈরি হতে পারে। যদি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর ব্যবহার করা হয় বড় কোন রিএকশন হয়তো দেখাবে না। তবে ব্যবহার না করাই ভালো।

নিরাপত্তা শাখার প্রধান মোহাম্মদ সাদেক হোসেন মজুমদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয়ে প্রতি অর্থবছরে একটা করে কমিটি হয়। আমি বিগত কমিটিতে ছিলাম এবং আমরা কাজও করছি কিন্তু বর্তমান অর্থবছরে আমরা নতুন করে কোন নির্দেশনা পাইনি। আগের কমিটি কাজ করবে নাকি নতুন কমিটি কাজ করবে এ বিষয়ে এখনো আমাদের কিছু বলা হয়নি।'