জাবিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার, সম্পাদক অধ্যাপক শাহেদ রানা 

ক্যাম্পাস
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের একাংশ নিয়ে গঠিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’ ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ নিয়ে গঠিত ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’র প্যানেল থেকে সভাপতি হয়েছেন অধ্যাপক মোঃ মোতাহার হোসেন ও সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী পন্থীদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’র প্যানেল থেকে অধ্যাপক শাহেদ রানা। অধ্যাপক মোতাহার ৩১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, অন্যদিকে অধ্যাপক শাহেদ রানা ২৮২ ভোট পেয়ে সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। পরে ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যা সাতটায় নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালি। নির্বাহী মোট ৫৮১ টি ভোট পড়ে।

সহ-সভাপতি পদে ২৮৫ ভোট পেয়ে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ পদে ৩৩৬ ভোট পেয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. এজহারুল ইসলাম এবং যুগ্ম-সম্পাদক পদে ২৮১ ভোট পেয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে অধ্যাপক সোহেল ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছেন। বাকিরা বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ প্যানেল থেকে নির্বাচনে লড়ে জয়ী হয়েছেন। 

নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য পদে জয়ীরা হলেন- ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক কে. এম. খায়রুল আলম (৩৩৫), প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান (৩০৮), প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত বনিক (৩০৬) ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপক আইরিন আক্তার (৩০০), ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক  খোঃ লুৎফুল এলাহী (২৮৮), লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোঃ নুরুল আমিন (২৮৪), ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল রনি (২৮৩), নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদা (২৭৪), পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম খন্দকার (২৭০) এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক (২৬৫)।

এতে অধ্যাপক আইরিন ও অধ্যাপক খোঃ লুৎফুল এলাহী ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছেন। আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন বাকি আটজন। 

ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এজন্য এখন পর্যন্ত নির্বাচনে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনার সাথেই ভোট দিয়েছেন।’

নব নির্বাচিত সহ - সভাপতি অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, আমার সহকর্মীবৃন্দগণ আমাকে তাদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে এই জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ। এই কয়েকদিনে আমি অনেক শিক্ষকের কাছে গিয়েছি, তাদের কথা শুনেছি, তাদের ন্যায্য দাবির কথা আমাদের বলেছেন। আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ হতে তাদের দাবিগুলো পূরণ করার চেষ্টা করব। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আমরা শিক্ষকদের গবেষণাখাত সহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়কে বরাবরের মতোই র‍্যাঙ্কিংয়ে আরো এগিয়ে নিয়ে যাব আশা করি। 

এবারের নির্বাচনে ৬০৯ জন ভোটারের মধ্যে ৫৮১ জন ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ও ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ‘ দুটি প্যানেল থেকে মোট ৩০ জন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।