বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাবিতে লোক প্রশাসন দিবস পালিত 

ঢাবি
  © সংগৃহীত

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘লোক প্রশাসন দিবস-২০২৩’ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে আনন্দ র‍্যালি, নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

আজ রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে র‍্যালির মাধ্যমে দিনের সূচনা হয়। পরবর্তীতে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের নবীনবরণ এবং ৪৭ তম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমানের সভাপতিত্বে নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, হামিম গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং লোক প্রশাসন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক জালাল আহমেদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী ও বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের শুধু লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে ডিগ্রি নিয়ে বড় পদে আসীন হবে এটাই আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত না। দেশের দূর্নীতি রোধে নিজের নৈতিকতা ঠিক রেখে শিক্ষার্থীদের কাজ করতে হবে। আমাদের চিন্তার পরিসর বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের সুখ-শান্তির পেছনে দৌড়াতে হবে, টাকার পেছনে না। 

তিনি বলেন, আজকের দিনটির জন্য আমাদের শিক্ষার্থীরা যেমন অপেক্ষা করে তেমনই আমরা শিক্ষক ও অ্যালামনাইরাও অপেক্ষা করে থাকি। লোক প্রশাসন বিভাগ একটি পরিবার, তাই সবাইকে এক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এসময় তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের বিভাগে অভিনন্দন ও বিদায়ী ব্যাচকে শুভকামনা জানান এবং শিক্ষার্থীদের সামনের দিনগুলোতে নিজের নীতি-নৈতিকতা ঠিক রেখে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আমরা যেই জ্ঞান চর্চা করি তার কোন জাত নেই। শুধু পড়াশোনাতেই জ্ঞান নয় একজন মানুষ সাধারণ একটি বাঁশি বাজিয়েও জ্ঞান চর্চা করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের দুটি জিনিস মাথায় রাখা জরুরি। এক, তাদেরকে বই পড়তে হবে। বই না পড়লে পৃথিবী সম্পর্কে জানা যাবে না। দ্বিতীয়টি হলো যেই দেশটি রক্ত দিয়ে স্বাধীন হয়েছে সেই দেশের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এই দায়িত্বটি হলো দেশের বড় পদে থেকে দূর্নীতি, অনিয়ম, বৈষম্য রোধ করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের জন্য নিজেকে ত্যাগ করতে হবে। দেশের মুখ যেনো পৃথিবীর সম্মুখে মলীন না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ