জাবিতে যৌন হয়রানি হলেই আলোচনায়  সেঞ্চুরিয়ান মানিক

জাবি
  © ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানিমূলক কোনো ঘটনা ঘটলে প্রথমেই যে নামটি আলোচনায় আসে তিনি হলেন জসিমউদদীন মানিক। 

সম্প্রতি গত (৩ রা ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত এক স্বামীকে আটক রেখে তার স্ত্রী কে ধর্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ও তার পরিচিত বহিরাগত মামুন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। 

এই ঘটনায় উত্তাল জাবি ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সহ বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ আন্দোলন অব্যহত রেখেছে। এরই মাঝে যে একটি নাম বারবার এসে উঠেছে। যে নামটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিরাচরিত  একটি ধর্ষকের নাম বলে পরিচিত,  তিনি হলেন জসিমউদদীন মানিক। সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনায় মানিকের কথা ফের সামনে এসেছে। আবারও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হাতে প্ল্যাকার্ড তুলে নিয়েছেন। আবারও ‘ক্যাম্পাসে ধর্ষক কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘ধর্ষণমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’; ‘ধর্ষকদের পাহারাদার, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি  শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রতিবাদকারীরা বলছেন, নারীকে হেনস্তা করা জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসের নিয়মিত ঘটনা হলেও কারো বিরদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। 

আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে ২১ জনের মৃত্যু

' ধর্ষক মানিকদের জায়গা এই ক্যাম্পাসে হবে না, হতে দেবো না'   আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্লোগানের মধ্যেও বারবার এই নামটি উঠে আসে।  আসলে কে সেই মানিক? 

জসিমউদদীন মানিক ওরফে সেঞ্চুরি মানিক। ১৯৯৮ সালে জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। সে সময় সারাদেশে এক আলোচিত চরিত্রের নাম ছিল এটি। বলা হয়ে থাকে তিনি সেসময় দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে ১০০-এর অধিক নারীকে ধর্ষণ করে তা উদযাপন করেছিলেন। এ জন্য তার নাম হয়েছিল ‘সেঞ্চুরি মানিক’। যদিও আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গঠিত নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি সংখ্যাটা আরো কম বলে দেখতে পেয়েছিল। সেসময়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সারা দেশের সামনে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিলো, ক্যাম্পাস করেছিলো ‘মানিক গ্রুপ’ তথা ধর্ষক মুক্ত!