ঢাবি ভিসির বাসভবনের সীমানায় নবজাতকের লাশ ফেলা ব্যক্তি আটক

ঢাবি
সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও থেকে নেওয়া  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের বাসভবনের সীমানার ভেতর নবজাতকের মৃতদেহ ফেলে যাওয়া ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে রমনা থানা পুলিশ।

আজ শুক্রবার দুপুরে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান দ্য বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই ব্যক্তির নাম সুলতান (৩৫)। তিনি কুমিল্লা জেলার দেবিদার থানার বসুকোট এলাকার বাসিন্দা। থাকেন রাজধানী ঢাকার বনশ্রী এলাকায়।

আটক হওয়া ওই ব্যক্তি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। রমনা জোনের এডিসি সালমানকে দেওয়া একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিওতে সুলতান বলেন, “বাচ্চাটা পেটে থাকতেই মারা গেছে। পরে নার্স এনে ধরায় দিলো যে আপনার বাচ্চা নিয়ে যান। পরে চিন্তা করলাম টাকা-পয়সার সমস্যায় আছি, মনটাও খারাপ হয়া (হয়ে ) গেল। আমার কাছে কোন টাকা-পয়সা নাই।‌ পরে সমন্ধীকে ( আত্নীয়) শরমে কিছু কই (বলি) নাই। পরে বাচ্চাটা এদিক থুইয়া( রেখে) গেছি। আমি যদি জানতাম স্যার এরকম হবে তাহলে বাচ্চাকে বাসায় নিয়া যাইতাম।”

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপাচার্য ভবনের বাইরে দিয়ে যাওয়ার সময় রিকশা থেকে নেমে মরদেহটি ছুড়ে দিয়ে পালিয়ে যান সুলতান। মরদেহটি একটি ব্যাগে ভরা ছিল। আইনি ব্যবস্থা নিতে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ পুলিশকে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে আজ দুপুরে গ্রেফতার করা হয়।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, যে ব্যক্তি নিজের সন্তানের লাশ এখানে রেখেছে সে ইতোমধ্যে ধরা পড়েছে। সে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। আমাদের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি পুলিশকে সরবরাহ করেছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর থাকতে বলবো এবং সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করার বিকল্প আমাদের হাতে আর নাই।

উপাচার্য বলেন, কিছু কিছু পত্রিকা দায়িত্বহীন ভূমিকা পালন করেছে এবং এ পত্রিকাগুলো সত্য অনুসন্ধান না করে তাৎক্ষণিকভাবে মুখরোচক নিউজ পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে। এটি করা উচিত নয়। সাংবাদিকতার মধ্যেও জবাবদিহিতা থাকা উচিত।