ঢাবিতে বিশেষ মহলের অপতৎপরতার চেষ্টা রুখে দিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা

ঢাবি
  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে বসবাসরত কর্মচারীদের জন্য তৈরিকৃত আবাসিক মসজিদে একটি বিশেষ মহল জোর করে অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করে। পরে কর্মচারী ও সাধারণ  শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত বাধার মুখে সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয় বিশেষ মহলের সদস্যরা।  

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু টাওয়ার আবাসিক মসজিদে এ অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করা হয়। যদিও সচেতন শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের কারণে অনুষ্ঠানটি আর করতে পারেনি ওই মহল।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন,  সম্প্রতি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বেনামি সংগঠনের ব্যানারে একটি পুরো মহল আবার নতুন করে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। 

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের পাশেই অবস্থিত বঙ্গবন্ধু টাওয়ার মসজিদ। এই মসজিদে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের একদল শিক্ষার্থী অনুমতি ছাড়াই 'প্রোডাক্টিভ রমাদান' নামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে 'অসৎ' উদ্দেশ্য নিয়ে সেমিনার আয়োজনের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে টাওয়ার প্রশাসন এই সেমিনারে বাধা প্রদান করলে শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের ওপরে 'চড়াও' হয়। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সম্মিলিত ভাবে তাদের প্রতিহত করেন। ওই সময় বিশেষ মহলের সদস্যরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। 

সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এ ধরনের প্রোগ্রাম ক্যাম্পাসে নতুন করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনার অংশ।  তবে সাধারণ শিক্ষার্থী যে কোন অপতৎপরতা রুখতে বদ্ধপরিকর বলেও তারা জানিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অনেকেই এই ধরনের প্রচেষ্টাকে অপতৎপরতা বলে মনে করছেন। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ”বিগত কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নামে বেনামে ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন আয়োজন, অনুষ্ঠান কিংবা সেমিনারের নামে কর্মীদেরকে উজ্জীবিত ও পুনরুত্থান ঘটানোর যে অপচেষ্টা করেছে তা স্পষ্টভাবে আজ প্রমাণিত। ইতিমধ্যে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ জেগে উঠেছে এবং এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু টাওয়ার মসজিদে শিবিরের নেতাকর্মীরা কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তাদের বাধা প্রয়োগ করে এবং এক পর্যায়ে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে।  

সৈকত আরও লিখেছেন, আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নামে-বেনামে শিবির কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী জীবন দিয়ে হলেও এদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে এবং শিবিরের প্রত্যেকটি কার্যক্রম  প্রতিহত করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের কোন কার্যক্রম চলবে না! চলবে না!”