বাবার কবরের পাশেই শেষ ঠিকানা অবন্তিকার
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩০ PM , আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩০ PM

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা কারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে তার বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হবে।
শনিবার বেলা ৩টায় কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শাসনগাছা কবরস্থানে বাবার কবরের পাশেই তাকে সমাহিত করা হবে। এরই মাঝে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ কলেজ মাঠে আনা হয়েছে।
ফাইরুজ অবন্তিকার মামা লুৎফুর আনোয়ার ভূঁইয়া, বড়ভাই অপূর্ব ও সেখানে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নিহতের বড়ভাই অপূর্ব জানান, ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ মরদেহ হস্তান্তর করেছে। সেখান থেকে কুমিল্লার বাগিচাগাঁওয়ে নিজ বাড়িতে মরদেহ নিয়ে আসা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল ৩টায় নগরীর কুমিল্লা সরকারি কলেজ মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে শাসনগাছা কবরস্থানে বাবার কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হবে।
অবন্তিকার মামা লুৎফুর আনোয়ার ভূঁইয়া জানান, মেয়ে ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার লাশের গাড়ি দেখে জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে গেছেন তার মা তাহমিনা শবনম।
ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
এদিকে শনিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর পূবালী চত্বরে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেন বাংলা সংস্কৃতি বলয়, বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্যাডেট ফোরাম, রং-তুলি যুব ফাউন্ডেশন, আলো যুব মহিলা কল্যাণ সংস্থা, প্রত্যাবর্তন, তারুণ্যের বাংলাদেশ, নিরাপদ চালক চাই, দেশ কল্যাণ সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, ভিবিডি কুমিল্লা, নবাব ফয়জুন্নেসা ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা কলেজ থিয়েটার, ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার, ইয়ুথ ফর পারপাস, কুমিল্লা সাইক্লিস্ট ফোরাম, জুনিয়র ফ্রেন্ডার্স ক্লাবের প্রতিনিধিরা।
এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ‘পিসি পার্ক স্মরণিকা’ নামের ১০ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় অবন্তিকা গলায় রশি বেধে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে শনিবার বিকেল তিনটায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা সদর হাসপাতালের রাত্রিকালীন দায়িত্বে থাকা ডাক্তার জুবায়ের তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তার গলায় একটি দাগ দেখতে পাই। সেই অবস্থায় তার দেহ নিথর অবস্থায় ছিল। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
মৃত্যুর ১০ মিনিট পূর্বে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একইসঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।