আমরা পাকিস্তানি পণ্য কিনতে পারিনা: গণহত্যা বক্তব্যে তারানা হালিম 

রাবি
  © ফাইল ছবি

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য তারানা হালিম বলেছেন, 'আমরা পাকিস্তানী কোন পন্য কিনতে পারিনা কারণ তাতে করে আমি পাকিস্তানি কোন না কোন ফ্যাক্টরিতে অর্থনৈতিক ভাবে কন্ট্রিবিউট করছি। এটা হতে পারে না হতে দেওয়া যায় না।'

মুক্তিযুদ্ধে নারীদের আটকে রাখা হয় এবং বাঙালিরা প্রকৃত মুসলমান নয় বিধায় তাদের প্রত্যেকের গর্ভে একজন পাকিস্তানি সন্তানের জন্ম দিতে হবে। এজন্য নয় মাস ক্রমাগত ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাদের, কতখানি নৃশংস ছিল তারা।'

সোমবার (২৫ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) 'একাত্তরের গণহত্যা: ইতিহাসের দায় ও আমাদের দায়িত্ব' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, অনেকে বলে পাকিস্তানির সাথে খেলা হলে কি হয় তাদের সমর্থন করলে। হয়, আমার মুক্তিযুদ্ধ অবমানিত হয়, আমার মূল্যবোধ অবমানিত হয়, আমার ৩০ লক্ষ শহীদের ত্যাগ অবমানিত হয়। এটা আমরা করতে পারি না।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম এবং প্রবন্ধের  মুখ্য আলোচক হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: আব্দুস সামাদ বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, গণহত্যা সমাজের উপর কতটুকু প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে তা দেখতে হবে। রাজনৈতিক ভাবে অপব্যাখা দেওয়া হয় গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে কিন্তু সংখ্যায় নয় ডেফিনেশন অনুযায়ী বিচার করতে হবে। বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছিল এবং সেটার আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে তৎপর হতে হবে।'

এছাড়া সেমিনারে  ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মাশরিক হাসান এবং সভাপতিত্ব করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন। সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য