রাবিতে নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র: উদ্বেগ প্রকাশ করে সংযুক্তের দাবি

রাবি
  © ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ভবনসহ আবাসিক হলগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা না থাকায় উদ্বেগ্ন প্রকাশ করেছে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার (৪ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মেহেদী সজীব ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম রেজা এ বার্তা প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তারাঁ বলেন, দেশের অন্যতম প্রধান বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল, প্রশাসনিক ভবন, অ্যাকাডেমিক ভবন এবং শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীদের আবাসিক ভবনসহ ছোট-বড় দেড় শতাধিক ভবন রয়েছে।

এসবের মধ্যে মাত্র তিনটি ভবনে রয়েছে অগ্নি দুর্ঘটনা মোকাবিলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। ফলে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে এসব ভবনে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সমস্যাটি সমাধানে দ্রুত বিবেচনায় নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভবনের মধ্যে কেবল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ড. মুহাম্মদ কুদরত-ই-খোদা অ্যাকাডেমিক ভবন ও স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনে কিছু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে। এছাড়া বাকি ভবনগুলোর কোনোটিতেই অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা নেই। এমনকি ১৭টি আবাসিক হলের একটিতেও নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। এসব হলের ডাইনিং, ক্যান্টিনের ছোট কক্ষের মধ্যেই রান্না হয় শত শত শিক্ষার্থীর খাবার। তাছাড়া প্রতি রুমে বৈদ্যুতিক চুলার ব্যবস্থা থাকায় যেকোনো সময় আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমতাবস্থায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা সক্রিয় করার কোনো বিকল্প নেই।

একই বিবৃতিতে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম রেজা বলেন, বর্তমানে আমাদের চারপাশে তৎক্ষণাৎ আগুন লাগার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন পূর্বেও রাতের বেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদারবখশ হলের ক্যান্টিনে আগুন লাগে। যার পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এমন ঝুঁকি জেনেই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের একটিতেও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নেই। সব কয়টি অ্যাকাডেমিক ভবনেও এ ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বিষয়টি একই সাথে চিন্তার এবং উদ্বেগেরও।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জননিরাপত্তার বিষয় ছাড়াও ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণাগার। এসব গবেষণাগারের যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল, গবেষণা সরঞ্জামও আগুনে পুড়ে নষ্ট হতে পারে। উল্লেখ্য, কিছু কিছু ল্যাবে অনেক মূল্যবান গবেষণা সরঞ্জাম থাকায় তা পুনরায় ক্রয় করা দুঃসাধ্য। এছাড়াও তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে যেকোনো সময় আগুন লাগার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর তাই অবিলম্বে উক্ত বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন জোর দাবি জানাচ্ছে।


মন্তব্য