শ্লীলতাহানির ঘটনায় উত্তাল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

যবিপ্রবি
  © সংগৃহীত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে লোকাল বাসে বহিরাগত দ্বারা শ্লীলতাহানির ঘটনায় উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। গতকাল রোববার লোকাল বাসে ঐ ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অপরাধীকে গ্রেফতারের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আনোয়ার হোসেন কথা দিলেও  নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে বিষয়টির কোনো সমাধান হওয়ায় আজ সোমবার ফের আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে উত্তাল হয়ে উঠে ক্যাম্পাস সড়ক।

গতকাল রবিবার মাসুদ নামের এক যুবক ঐ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে বলে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যপারে প্রত্যক্ষদর্শী সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাসগামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকালের বাস মিস করায় ধর্মতলা থেকে লোকাল বাসে ওঠে ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে চূড়ামনকাঠি থেকে মাসুদ নামের এক যুবক ওঠে ঐ বাসে। বাসে সিট খালি না থাকায় ঐ শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ায় মাসুদ। বাসে ভিড় থাকায় ঐ ছাত্রীর শরীরে স্পর্শ করতে থাকে ঐ যুবক। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযুক্ত মাসুদকে সরে যেতে বললে, কথা না শুনে পুনরায় স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে ঐ যুবক। এসময় বাসে থাকা যাত্রীদের বিষয়টি অবহিত করলে তারাও কোনো সুরাহা করতে পারেননি।

একপর্যায়ে বাসটি ক্যাম্পাসের গেটে আসলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে নেমে পড়েন মাসুদ। তবে বিষয়টি ক্যাম্পাসে জানাজানি হওয়ার আগেই যুবক পালিয়ে যান। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ঘটনাটি সহপাঠীদের জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। এদিকে বিচারের দাবিতে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ঐ ছাত্রী।

বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত শুনেন। পরবর্তীতে তিনি বলেন, যেহেতু এ বিষয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে তাই আমরা অতি দ্রুত গ্রহণ করবে। তবে ২৪ ঘণ্টা শেষ হলেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজ ফের টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।