ভারপ্রাপ্ত মুক্ত হচ্ছে চবির শীর্ষ আট পদ

দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর গুলো চলছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে তবে এবার ভারমুক্ত হতে চলছে রেজিস্ট্রার,গ্রন্থগারিক, প্রধান প্রকৌশলী সহ মোট আটটি গুরুত্বপূর্ণ পদ ।  নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড আবু তাহেরের দায়িত্ব গ্রহণের পর ঢেলে সাজানো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও হলের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক পদ গুলো।

এই ধারাবাহিকতায় ১৬ মে (বৃহস্পতিবার) চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে  সর্বশেষ ২০১৫ সালের পে  স্কেল অনুযায়ী ৩য় ও ৪র্থ গ্রেডের আটটি পদে নিয়োগের  জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়।পদ গুলো হলো  রেজিস্ট্রার ,গ্রন্থগারিক,হিসাব নিয়ামক, প্রধান প্রকৌশলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন),চিফ মেডিকেল অফিসার এবং পরিচালক (শারীরিক শিক্ষা বিভাগ)।

বিজ্ঞাপিত পদ গুলোতে আবেদনকারীদের সনদপত্রাদি সহ ১০ সেট দরখাস্ত আগামী ১০ জুনের মধ্যে অফিস চলাকালীন সময়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ বলেন-গতকাল (বৃহস্পতিবার)বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদ গুলোতে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে পদ গুলোতে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা আসবেন। ততদিন পর্যন্ত দায়িত্বে যারা আছেন তারাই থাকবেন।

উল্লেখ্য যে ২০২২ সালে ইউজিসি একটি নির্দেশনা দিয়েছিল সব বিশ্ববিদ্যালয়কে। ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানের দেওয়া ওই চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), পরিচালকসহ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারপ্রাপ্ত, অতিরিক্ত দায়িত্ব বা চলতি দায়িত্ব প্রদান না করে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে এতোদিন এ নির্দেশনা আমলে নেয়নি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।২০২০ সালের ৩০ জুন চাকরি থেকে অবসরে যান বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ।গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পান কে এম নুর আহমদ। যদিও ওই সময় তৎকালীন উপাচার্য বলেছিলেন, তিন মাসের মধ্যে পূর্ণকালীন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রধান প্রকৌশলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক,হিসাব নিয়ন্ত্রক সহপ্রায় দশটির বেশি পদ গুলোতে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত ও অবসরপ্রাপ্তরা। দীর্ঘদিন পর নতুন উপাচার্য এই পদগুলো ভারমুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছেন।