হাবিপ্রবির গর্ব হতে চায় সুফিয়ান

হাবিপ্রবি
  © টিবিএম ফটো

সুজুকি ১১ তম জাতীয় এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (১৯ ব্যাচের) শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান। সুফিয়ান বর্তমানে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী। 

 

বুধবার (২২ মে) ঢাকার গুলশানের শ্যুটিং ফেডারেশনে  অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপে আবু সুফিয়ান এয়ার রাইফেল ম্যান এবং এয়ার রাইফেল মিক্সড টীম ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন।


আবু সুফিয়ান তার শ্যুটিং ক্যারিয়ারে অনেকগুলো জাতীয় ও আন্তজার্তিক পর্যায়ের পুরস্কার পেয়েছেন।

 আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাশিয়াতে শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক অর্জন। জার্মানিতে সেরা ১০ জনের মাঝে স্থান । জাতীয় পর্যায়ে ১০ টির বেশি পদক তন্মধ্যে  ৫টির বেশি স্বর্নপদক। গত বাংলাদেশ গেমসে ব্রোঞ্জ পদক।


বাবা মায়ের আদরের সন্তান সুফিয়ান ছোট থেকেই দুরন্তপনা ছিলেন। তার দাদা ছিলেন সে সময়ের নামকরা শিকারী। ব্যক্তিগত বন্দুক দিয়ে দাদার পাখি শিকার করা দেখে ছোট্ট সুফিয়ানের আগ্রহ জন্মে বন্দুকের প্রতি, সেই থেকে আগ্রহ জন্ম নেয় নেশায়।খেলার প্রতি প্রবল ঝোঁক তার ছোটবেলা থেকেই। হেলা করেননি পড়াশোনাতেও। ২০১২ সালে বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে তার প্রথম খেলা শুরু। ওই বছরের শেষের দিকেই এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপে গোল্ড পদক জিতে তার আত্মবিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। ২০১৪ সালের আন্ত:ক্লাবে গোল্ডের পরের বছরে ন্যাশনালে জুনিয়র ত্রিপজিশনেও গোল্ড পদক লাভ করেন সুফিয়ান।


শুধু শ্যুটিংয়ে নয় পড়ালেখায়ও যথেষ্ট  ভালো এই তরুণ শ্যুটার।পড়াশোনা ম্যানেজ করে শ্যুটিংয়ে ভালো করার বিষয়ে জানতে চাইলে আবু সুফিয়ান বলেন,"ছোট থেকেই শ্যুটিংয়ের প্রতি আলাদা ঝোঁক ছিল, এই ঝোঁকপ্রবণতা বর্তমানে দায়িত্বে পরিণত হয়েছে। আর আমার এই দায়িত্ব পালনে আমার পরিবার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থীরা আমাকে ব্যাপক সাহস আর অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।আমার অফ ফর্মে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা, বড় ভাই, ছোট ভাইয়েরা আমাকে মানসিকভাবে সাহসী হতে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে।আমি  ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ  পুরস্কার অর্জন করে বিশ্ববাসীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের নাম তুলে ধরতে চাই।আমি সর্বদা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা এবং দোয়া চাই।আমি মনে করি আমার পরিবারের পাশাপাশি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা পেলে আমি ভালো কিছু করবো।আমি হাবিপ্রবির আবু সুফিয়ান হতে চাই।আমি আমার প্রাণের হাবিপ্রবির নাম সমুন্নত করতে চাই"।