'ভিক্ষা চাইনা কুত্তা খেদা' সার্বজনীন পেনশন বাতিল মানববন্ধনে জবি শিক্ষক সমিতি 

জবি
  © টিবিএম

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এসময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষক সার্বজনীন পেনশন বাতিল নিয়ে বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে 'ভিক্ষা চাইনা কুত্তা খেদা' বলে মন্তব্য করেন।

রবিবার (২৬ মে ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মাশরিক হাসানের সঞ্চালনায় পরিচালিত হলেও শিক্ষক উপস্থিত ছিল খুবই নগণ্য।

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মাশরিক হাসান বলেন, 'প্রত্যয় স্কিমে বয়সসীমা ৬০ বছর দেয়া কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বয়সসীমা ৬৫ বছর তাই এখানে একটি ধোঁয়াশা রয়েছে। তাছাড়া আমলারা নিজেরা এ স্কিমের আওতাভুক্ত না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংযুক্ত করে বড় বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আমাদের দাবি মানা না হলে আগামী মঙ্গলবার দুই ঘন্টার কর্মবিরতিতে যাবো বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের কর্মসূচি অনুযায়ী।'

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ জাকির হোসেন বলেন, 'সরকার প্রথমে চালু করেছিল যারা পেনশন সুবিধা পান না তাদের জন্য, কিন্তু পরে কোনো এক কুচক্রীমহল এটা করেছে। পরবর্তী কর্মসূচি তে যাতে যাওয়া না লাগে তার আগেই আশা করি সরকার আমাদের দাবি মেনে নিবে। প্রত্যয় স্কিম থেকে শিক্ষকদের বাদ দিতে হবে।'

এছাড়া ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোঃ সেলিম বলেন, 'আমরা তো শিক্ষক মানুষ কম বুঝি হয়তো তাই আমাদের ওপর এ পেনশন স্কিম চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।  স্কিমে কন্ট্রিবিউট করলে পাবে, না হলে পেনশন পাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটাকে হেয় করার জন্য এমনটা করা হচ্ছে। দেশে কোনো সমস্যা না থাকলে আমলারা সমস্যা সৃষ্টি করে। দেশ যখনই শান্তিতে চলে তখনই আমলারা নতুন সমস্যা সৃষ্টি করে।'

মানববন্ধনে শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, একটি জাতিকে ধ্বংস করতে পারমাণবিক বোমা দরকার নেই, শিক্ষাব্যবস্থাকে আঘাত করলেই হয়। বাংলাদেশ যখনই এগিয়ে যাচ্ছে তখনই একটি মহল শিক্ষকদের পেছনে লাগে। সার্বজনীন পেনশন স্কিম সুন্দর একটা স্কিম কিন্তু একটি মহল অল্প কয়েকজন পেশাজীবিকে অন্তর্ভুক্ত করে নিজেদের আওতামুক্ত রেখেছে। এধরণের স্কিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। সার্বজনীন শব্দটার যথার্থ ব্যবহার হওয়া উচিত। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। দাবি আদায়ে তীব্র আন্দোলন করতে হবে। 

এসময় শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করার কথা বলেন এবং আগামী ২৮ মে মঙ্গলবার সকাল ১০.০০টা থেকে ১২.০০টা পর্যন্ত ২ ঘন্টার কর্মবিরতি পালিত হবে বলে ঘোষণা করেন তবে এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে আগামী ৪ জুন মঙ্গলবার সকাল ৮:৩০টা থেকে দুপুর ১.০০টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে বলে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।