ঢাবি শিক্ষার্থীকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার অপপ্রচার, প্রক্টরের নিকট অভিযোগ
- ঢাবি প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৮:০৯ PM , আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ০৮:০৯ PM
-12618.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতার মিথ্যা অপপ্রচারের শাস্তি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন মানহানির শিকার ওই শিক্ষার্থী। অপপ্রচারকারী ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম 'রবিউল ইসলাম রবি।' তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
প্রক্টরের নিকট লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক বলেন, গত শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরের সময়ে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ” গ্রুপে Robiul Islam Robi নামের ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সম্বলিত পোস্ট করেন। তিনি ঐ পোস্টে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি'র একটি বিজ্ঞপ্তি যুক্ত করে তাতে লেখেন, আমি নাকি, একজন ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছি যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মিথ্যাচার এবং আমার জন্য অত্যন্ত মানহানিকর। উল্লেখ্য পোস্টে উল্লেখিত গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তাই আমি শঙ্কিত হয়ে ঐ দিনেই শাহবাগ থানায় বিষয়টিকে সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করি। জিডি নং: ১৫০২ এবং জিডির ট্র্যাকিং নং FAXLOY ।”
এ ঘটনার পর থেকে মোসাদ্দেক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত জানিয়ে অভিযোগে লিখেছেন, “মাননীয় প্রক্টর মহোদয় উক্ত ঘটনায় আমি মানসিকভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত। আগামী মাসে আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অথচ আমার পড়াশোনা অত্যন্ত বাজেভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।”
এর আগে গত ১০ মে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাবি শাখা থেকে মোসাদ্দেককে বহিষ্কার করা হয়। সংগঠনটির ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব আবু বাকের মজুমদার স্বাক্ষরিত প্যাডে এই বিষয়ে বলা হয়, “সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকায় বাংলা বিভাগে ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ (আহ্বায়ক সদস্য, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ) কে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।”
যৌন হয়রানির মতো কোন কাজের কারণে মোসাদ্দেককে বহিষ্কার করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আবু বাকের মজুমদার বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, “সে সংগঠনে ছিলো কিন্তু সংগঠনের নিয়ম কানুন ভঙ্গ করার কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নারী ঘটিত কোন ঘটনা ঘটেনি। তাকে নিয়ে যা করা হয়েছে তা মিথ্যাচার।”
এদিকে মিথ্যাচারের বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, “মোসাদ্দেক তার বিভাগের একজন নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করেছিল এরকম শুনে আমি পোস্ট করেছিলাম। পরবর্তীতে যখন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক বিষয়টি পরিষ্কার করে তখন আমি পোস্টটি ডিলিট করে দেই।”
এরপর আপনার ভুল স্বীকার করে কোন পোস্ট দিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এরকম কোন পোস্ট দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, অভিযোগ আজকে পেয়েছি। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।