ঢাবিতে ঘূর্ণিঝড় রিমালে প্রাইভেট কারের ওপরে ভেঙে পড়লো গাছ

রিমাল
  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট কারে গাছ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে গাড়ির সামনের অংশ বেঁকে গিয়েছে। এ সময় গাড়ির ভিতরে কেউ না থাকায় কেউ হতাহত হয়নি।

সোমবার (২৭ মে) বিকালের দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে ভেঙে পড়া গাছ রাস্তা থেকে সড়িয়ে নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন, বিকালের দিকে একটি দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেট কারে গাছ ভেঙে পড়ে।‌ তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

প্রক্টর জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন এলাকায় তিনটি এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় দুইটিসহ মোট পাঁচটি গাছ ভেঙে পড়েছে।

পরে ফায়ার সার্ভিস, সিটি কর্পোরেশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সহায়তায় এসব গাছ রাস্তা থেকে সড়িয়ে নেয়া হয়।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯ জেলার ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিববুর রহমান। সোমবার (২৭ মে) বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মো. মুহিববুর রহমান বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা গত ৪-৫ দিন কাজ করে যাচ্ছি। অনেক প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। তারপরও আমরা ১০ জনকে হারিয়েছি।'

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সফলভাবে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দুর্যোগ মন্ত্রণালয় গত কয়েকদিন ধরে প্রস্তুতি গ্রহণ করে। যার ফলে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।'

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'গতকাল সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় দেশের উপকূলে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় পানি ঢুকে গেছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়েছে। বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বেশ কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।'

'আজ সকাল থেকে আমরা ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করছি' জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী মহিববুর বলেন, 'প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জেলাগুলো হলো-খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং যশোর।'

'এছাড়া ১০৭টি উপজেলা এবং ৯১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩ বাড়ি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ ঘরবাড়ি,' বলেন তিনি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'উপকূলীয় এলাকায় মোট ৯ হাজার ৪২৪ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৮ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।'