মসজিদের ইমামকে নিয়ে তিল থেকে তাল বানানোর অভিযোগ! ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা 

জবি
  © টিবিএম

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় এসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর  ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। অনেকেই বলছেন তুচ্ছ ঘটনাকে তিল থেকে তাল বানিয়েছেন প্রক্টর। ইমামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায়  শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। 

বুধবার (২৯ মে) যোহর নামাজ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে ইমামকে নিয়ে আনিত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে প্রতিবাদের জন্য জোড়ো হতে থাকে সাধারণত শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু মসজিদের ইমামের বিষয়টি নিয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য এ এন এম আসাদুজ্জামান ফকির সেখানে হাজির হন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ করতে নিষেধ করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় তদন্ত কমিটির সদস্য এ এন এম আসাদুজ্জামান ফকির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে বলেন, 'আন্দোলনের মাধ্যমে কোন কিছুর সমাধান সম্ভব নয়। বিশৃঙ্খলা তোমরা করতে পারবা কিন্তু এই বিশৃঙ্খলায় কোন সমাধান আসবে না। বরং তোমরা ধৈর্য্য ধারণ করো এটাই ভাল।'

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, 'এটি একটি গুজব ছিল তাঁরা সমাবেশ করবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কয়েক জন সহকারী অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা বুঝতে পেরেছে পরে আর সমাবেশ হয়নি।'

তিনি আরো বলেন, 'বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটা ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। আমরা মেয়ের ব্যাপারে কিছু বলছি না জাস্ট প্রশাসনিক অবহেলার অভিযোগ তাঁর (পেশ ইমাম) বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি জাস্ট বিরত থাকতে বলা হয়েছে।'

তুচ্ছ ঘটনাকে তিল থেকে তাল করার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'যেকোন বিষয়ের একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ থাকে এর রুলস রেগুলেশন থাকে। কোন বিষয় আসলে সেটি প্রশাসনিক ভাবে দেখতে হয় কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। আমি যে দায়িত্ব পালন করছি আমার দায়িত্বে অবহেলা থাকলে সেটা ফেস করতে হবে না, অবশ্যই ফেস করতে হবে।'

এসময় সেখানে উপস্থিত এক শিক্ষার্থী জানান, যেখানে খোদ সেই নারী যাকে নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত তিনি প্রকৃত এবং সত্য ঘটনা উপস্থাপন করে বিষয়টি সম্পর্কে সবাইকে স্পষ্ট করেছেন। তারপর‌ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ইমাম এর বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াই আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

উল্লেখ্য যে, গত সোমবার (২৭ মে) গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মসজিদের ইমাম ছালাহ্ উদ্দীনকে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে সাময়িক অব্যাহতির বিষয়টি সামনে আসে। সেই প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সাজানো বলে দাবি করেছেন ঘটনার সূত্রপাতের সময় উপস্থিত থাকা নারী। যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। বিষয়টিকে অনেকে ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে মসজিদের ইমাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে কুরুচিপূর্ণ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে বলে মনে করছেন।