জবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল, কঠোর অবস্থানে প্রশাসন 

জবি
  © টিবিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমামকে অব্যহতি দেওয়ার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে বাধা। বুধবার (২৯ মে) যোহর নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে ইমামকে নিয়ে আনিত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে প্রতিবাদের জন্য জোড়ো হতে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এরপর মিছিলটি শান্ত চত্বর দিয়ে বিজ্ঞান ভবন ঘুরে আসার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হয়।

এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। পরবর্তীতে বাধার সম্মুখীন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমনকি বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক- কর্মকর্তা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।

এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মাশরিক হাসান শিক্ষার্থীদের বলেন, 'যে ছাত্রী, তাঁর একটা লিখিত অভিযোগ এক কপি আমার কাছে আছে এর মধ্যে কিছু বিষয় সে উল্লেখ করেছে। তদন্ত কমিটি হয়েছে এবং তাদের কিছু নিয়ম কানুন আছে। তদন্ত হলে সেখানে তাকে রাখা যায় না এটাই নিয়ম বিভিন্ন তদন্তে এমনি হয়ে থাকে।'

এরপর শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে একজন বলেন, 'ছাত্রীকে জড়িয়ে ইমাম সাহেবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে নষ্ট করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আপনারা প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নিতেন কিন্তু আগেই কেন অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এর বিচার আমরা চাই।'

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর  হোসেন বলেন, 'তোমাদের অব্যহতি আর বিরতির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। তাকে কোন অব্যহতি দেওয়া হয়নি এমন কোন অফিসিয়াল আদেশ নেই শুধু মাত্র মৌখিক ভাবে নামায পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।'

পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় বাকবিতন্ডার পর প্রক্টর এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক- কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে মিছিল শেষ করে।

উল্লেখ্য যে, গত সোমবার (২৭ মে) গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মসজিদের ইমাম ছালাহ্ উদ্দীনকে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে সাময়িক অব্যাহতির বিষয়টি সামনে আসে। সেই প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সাজানো বলে দাবি করেছেন ঘটনার সূত্রপাতের সময় উপস্থিত থাকা নারী। যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। বিষয়টিকে অনেকে ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে মসজিদের ইমাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে কুরুচিপূর্ণ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে বলে মনে করছেন।