নামাজ পড়ানোর অনুমতি পেলেন জবির সেই ইমাম, চলবে তদন্ত
- জবি প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ০২:৫২ PM , আপডেট: ৩১ মে ২০২৪, ০২:৫২ PM

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে ছাত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. ছালাহ্ উদ্দীনকে নামাজ পড়ানোর অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে তদন্ত চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ শুক্রবার তিনি জুমার নামাজে ইমামতি করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
তিনি আরো জানান, 'আজ ওনাকে ডেকে নামাজ পড়াতে বলেছি। উনি সহকারী ইমামের সঙ্গে অল্টারনেট করে নামাজ পড়াতে পারবেন। তবে ঘটনার তদন্ত চলমান থাকবে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ নিয়ে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ ছালাহ্ উদ্দীন জানান, 'আমাকে আজ রেজিস্ট্রার দপ্তরে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলা হয় যেহেতু আপনাকে লিখিত কিছু দেওয়া হয়নি মৌখিক ভাবে বলা হয়েছিলো তো থাক ওটা অসুবিধা নেই। তদন্ত কমিটি চলছে আপনি আপনার মতো করে কাজ করতে থাকুন।'
তিনি আরো বলেন, 'আজকে জুম্মার নামাজ পড়িয়েছি পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ ও পড়াতে পাড়বো ইনশাআল্লাহ।'
এর আগে আজ শুক্রবার জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক মোঃ তানভীর আহসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মধ্যরাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে ছাত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে তাকে ইমামতি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম খতিবকে অপসারণ করা হয়েছে বা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে, যা অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গত ১৫ মে রাত ১১টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থীর অবস্থানের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মসজিদের ইমামসহ (খতিব) সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ে তদন্তপূর্বক একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মসজিদের বিষয়টি নিয়ে ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম লুৎফর রহমানকে আহ্বায়ক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালেদ সাইফুল্লাহকে সদস্য সচিব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এরআগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমামকে অব্যহতি দেওয়ার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিছিলে দেওয়া হয় বাধা।