স্মার্ট দেশ গড়তে সাহায্য করবে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঢাবি প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ০৫:২৩ PM , আপডেট: ০১ জুন ২০২৪, ০৫:২৩ PM
-10156.jpg)
মাদরাসা শিক্ষার্থীরা স্মার্ট দেশ গড়তে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ শনিবার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রলীগ আয়োজিত 'আমাদের বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময়ই অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে কাজ করেছেন। তিনি সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। কাকরাইল মসজিদের সম্প্রসারণের কাজ, হজ্জ্ব যাত্রীদের জন্য সরকারি অনুদান, বিশ্ব ইজতেমার সম্প্রসারণেও তিনি ছিলেন অগ্রগন্য। বৈদেশিক কূটনীতিক তৎপরতায় তিনি ছিলেন অনন্য। ১৯৬৬ সালেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন।
মাহাথির মোহাম্মদ যেমন মালেশিয়াকে পরিবর্তন করেছিলেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুও সাড়ে ৩ বছর ক্ষমতায় বসে তা দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরো ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারলে মালেশিয়ার চেয়েও দ্রুত দেশের সার্বিক উন্নতি হতো।
কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদরাসার লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর একাডেমিক স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। যার ফলে তিনি আলেম, হাফেজদের কাছে কওমি জননী উপাধি পেয়েছিলেন। ইসলামেই অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলা হয়েছে। তাই আমরাও বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় রূপ প্রদানের চেষ্টা করছি। নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট দেশ গড়তে সাহায্য করবে।
বেনজীর ইস্যুতে মন্ত্রী বলেন, যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, আইন অনুযায়ী তাঁর বিচার হবে। বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি করে থাকলে এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। তদন্তের পরই জানা যাবে তিনি কী করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী অনেক কষ্ট করে। জঙ্গি-সন্ত্রাস দমন, কোভিডসহ যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাঁরা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছে। কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তার দায় প্রতিষ্ঠান নেয় না।
বেনজীরের দেশ ত্যাগের বিষয়টি জানেন না উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এর আগেই তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন বলে শুনেছি। যদিও তার যাওয়ার ব্যপারে আমি জানি না। বিস্তারিত জেনে কথা বলব।
আনার হত্যার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ আক্তারুজ্জামান শাহীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মূল হত্যাকাণ্ড যেহেতু ভারতে হয়েছে সেহেতু মূল মামলাও ভারতে হয়েছে৷ ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দী বিনিময় চুক্তি আছে। তাই ভারতই এ হত্যাকাণ্ডের মূল তদন্ত করবে। আমাদের দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হলে আমাদের পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতো। তারা যদি আমাদের সম্পৃক্ত করে তাহলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দশজন মাদরাসা শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।