নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে

পিএইচডি, লেখক এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা দিলো শিক্ষক সমিতি

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
  © টিবিএম

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির  আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি সম্পন্নকারী ও বইমেলা-২০২৪ এ বই প্রকাশিত শিক্ষকদের সম্মাননা এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়টির কনফারেন্স কক্ষে পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্ত ৪৪ জন শিক্ষককে পিএইচডি সম্মাননা এবং ২০২৪ সালে বইমেলায় বই প্রকাশের জন্য ৫ জন শিক্ষককে লেখক সম্মাননা দেয়া হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরপ্রাপ্ত ২ জন শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. হাসিনা খান। এসময় প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও জনবলের সংকট নিয়ে উপাচার্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে মাত্র ৪জন শিক্ষক আছে, মার্কেটিং বিভাগে ৪জন, ব্যবস্থাপনা বিভাগে মাত্র ২জন শিক্ষক আছেন। এই দুই চারজন শিক্ষক নিয়ে একটি বিভাগ পরিচালনা কতটা কষ্টের সেটি আমরা বুঝতে পরি। দুজন শিক্ষক দিয়ে নিয়মিত পাঁচটি ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়ে শিক্ষকরা নিজেদের গবেষণা কী ভাবে করবেন, যেখানে দুজন শিক্ষক থাকেন তারা কীভাবে নিজেদের ক্যারিয়ারের উন্নতি করবেন এ প্রশ্ন আমাদেরও। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি বিশ্বমানের করতে চাই তাহলে প্রথম দরকার জনবল। বিশেষকরে প্রথমে হলো শিক্ষক। তারপরে অন্যরা। কেননা শিক্ষকদের অপ্রতুলতা থাকলে শিক্ষার স্বাভাবিক গতি ব্যহত হতে বাধ্য।

অনুষ্ঠানে ইউজিসির দৃষ্টি আকর্ষন করে উপাচার্য বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি একটি সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয় করতে হয়, তাহলে অবশ্যই এখানে একটি কলেজিয়েট স্কুল দরকার। যেখানে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠদান হবে। আর এজন্য ইউজিসিকে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে।

শিক্ষা ও গবেষণাকে উৎসাহিত করতে এধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মত প্রকাশ করেন প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. হাসিনা খান। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত  শিক্ষক ও জনবল নিশ্চিতকরণসহ বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এণ্ড কলেজ কার্যক্রমের বিষয়ে কার্যকরী উদ্যোগ নেবেন বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি আদায়ে  ইউজিসি পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।

নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল হোসেন তোকদার এবং নুসরাত শারমিন তানিয়ার সঞ্চালনায় স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। শিক্ষক সমিতির সকল নেতৃবৃন্দ এবং সকল শিক্ষকের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।