বিএআরসিতে

সংকর জাতের গাভী ও প্রজনন ষাঁড় নির্বাচন শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাকৃবি
  © টিবিএম

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বিএআরসি) ‘বাংলাদেশের পরিবেশে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং সহনশীলতার জন্য ফেনোটাইপিক এবং জিনোমিক তথ্য ব্যবহার করে সংকর জাতীয় গাভী ও প্রজনন ষাঁড় নির্বাচন’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) বিএআরসি কনফারেন্স রুমে ওই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) এর অর্থায়নে তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের সমাপনী হিসেবে কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।

কেজিএফের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. নাথু রাম সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) পরিচালক ড. এম আক্কাস আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মলয় কুমার শুর।

অনষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও বাকৃবির পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ভূঁঞা। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল হলস্টেইন ও শাহীওয়াল জাতের সাথে দেশিয় পশুর সংকরায়নের উৎপাদনশীলতা, প্রজনন, সহনশীলতা এবং বীর্য উৎপাদনের কার্যকারিতা পরিমাপ ও মূল্যায়ন করা। জিনোমিক সংমিশ্রণ বিশ্লেষণের জন্য সিঙ্গেল নিউক্লিওটাইড ফেনোটাইপ (এসএনপি) তথ্য ব্যবহার করে সংকর জাতের গাভী ও প্রজনন ষাঁড় উভয়ের জিনগত বৈচিত্র্য পরিমাপ করা। পাশাপাশি পশুর জাত ও মান উন্নয়নের জন্য ও সর্বোত্তম জেনেটিক অনুপাত মূল্যায়নের লক্ষ্যে জেনেটিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু অবস্থায় ভাল অভিযোজনশীল উচ্চতর জিনগত গাভী ও ষাঁড় নির্বাচন করা।

তিনি আরও বলেন, গবেষণার দেশের বিভিন্ন জেলার ডেয়রি ফার্ম থেকে হলস্টেইন ও শাহীওয়াল জাতের গাভী থেকে ফেনোটাইপিক তথ্য, রক্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর  সেগুলোর সাথে দেশিয় গবাদি পশুর সংকরায়ন মূল্যায়নের জন্য বংশ ও কর্মক্ষমতার উপর ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। একই সাথে উন্নত জাতের পিতৃ ও মাতৃ পশু নির্বাচন করতে তিনটি ভিন্ন মডেলের মাল্টিট্রেট সিলেকশন ইনডেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উচ্চ ঘনত্বের সিঙ্গেল নিউক্লিওটাইড ফেনোটাইপ (এসএনপি) ব্যবহার করে বাংলাদেশের সংকরিত গবাদি পশুর জিনগত বৈচিত্র্য ও জিনোমিক সিকোয়েন্স প্রকাশ করা হয়েছে এবং পরিচিত জেনেটিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উন্নত ষাঁড় ও গাভী নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।

এসময় কেজিএফের ড. নাথু রাম সরকার বলেন, এটি চমৎকার একটি কাজ। এই প্রকল্প ও গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাধুবাদ জানাই। গবেষণাটি সামনে আরও এগিয়ে নিতে হবে এবং গবেষণা লব্ধ জ্ঞান ব্যবহারে করে দেশের জন্য, দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

প্রকল্পটির সহযোগী গবেষক হিসেবে ছিলেন- বাকৃবির বাকৃবির পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বিএআরসির কৃত্রিম প্রজনন এন্টারপ্রাইজের উপ মহাব্যবস্থাপক ড. ফারুকুল ইসলাম ও কেন্দ্রিয় কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পশু প্রজনন) শানে খোদা।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ