কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি ও ইউনিয়ন 

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
  © টিবিএম

সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন এবং ইউজিসি প্রণীত অভিন্ন আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি (গ্রেড ১১-১৬) এবং কর্মচারী ইউনিয়ন (গ্রেড ১৭-২০) কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। সোমবার (০১ জুলাই) বাংলাদেশ আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসানিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি শেষে তারা তিন দিনব্যাপী অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন। এসময় এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা অংশগ্রহণ করে।

এসময় কর্মচারী সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হওয়ার পূর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সরকারি চাকরি বহির্ভূত সবাই এর আওতাধীন হবে। কিন্তু বর্তমানে একটি কুচক্রী মহল সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই পেনশন স্কিম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিজীবীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। কর্মচারী সমিতির সভাপতি হিসেবে বিষয়টি কর্মচারীদের স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে করি। বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের প্রত্যয় স্কিমের বাহিরে রাখার দাবিতে আজ থেকে ৩ দিন অর্ধদিবস কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনে যাবো।

কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের প্রত্যয় স্কিমের বাহিরে রাখার দাবিতে আজ আমরা অবস্থান নিয়েছি এবং তিন দিনব্যাপী অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবো। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরারা প্রত্যয় স্কীমের আওতাভুক্ত হলে সরকারি চাকরির প্রতি সাধারণ মানুষ আগ্রহ হারাবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো এবং পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির দিকে অগ্রসর হবো।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম রানা, কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবর রহমানসহ অন্যান্যরা।


মন্তব্য