জবি শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলনে ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ পুরান ঢাকা 

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। রাস্তা অবরোধে আসেপাশে সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা। শনিবার (৬জুলাই) ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’র ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাঁতিবাজার গিয়ে রাস্তা অবরোধ করে দেয়। সেখানে ৩ ঘন্টা অবস্থান করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।রাস্তায় অবরোধে বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে পদ্মা সেতুগামী এবং সদরঘাটগামী গাড়িগুলো আটকা পড়ে এ সময়। শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের সময় পুরো পুরান ঢাকা অচল হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষজন। 

সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড) কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন করে আসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে সাবিত ইসলাম জানান, বাংলাদেশে এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা পাশ করে বের হচ্ছে। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না করে কোটা নিয়ে এসে তাঁদেরকে অসম প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তা আমরা মানি না।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘মেধাবীরা আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘মুক্তি চাই-মুক্তি চাই, কোটা থেকে মুক্তি চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।