প্রত্যয় স্কিমটি কেন চাচ্ছেন না, জানালেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
- রোহান চিশতী, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০২ PM , আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০২ PM

সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপনের প্রত্যয় স্কিমের ক্ষতিকর ও নেতিবাচক দিক তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভা করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনা এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহার সভাপতিত্বে শিক্ষক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষক নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য প্রত্যয় স্কিমের ক্ষতিকর দিকগুলোর মাঝে রয়েছে- মেধাবী শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করা, অবসর পরবর্তী সুবিধা কমে যাওয়া, চাকরির সুযোগ কমে যাওয়া, কর্মক্ষেত্রে বিভাজন তৈরি, অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অনিশ্চয়তা প্রভৃতি। তাই, শিক্ষকদের উপর এই স্কিমের প্রভাব খুবই নেতিবাচক হতে পারে। এছাড়াও প্রচলিত পেনশন নীতি অনুযায়ী অবসরের বয়স ৬৫ বছর এবং আজীবন পেনশন সুবিধা পায় কিন্তু প্রত্যয় স্কিম অনুযায়ী ৬০ বছর বয়সেই অবসরে যেতে হবে এবং অবসরের পর গ্র্যাচুইটি প্রাপ্য হবে ও ৭৫ বছর পর্যন্ত পেনশন পাবেন। প্রত্যয় স্কিমের প্রভাব কেবল বর্তমান শিক্ষকদের উপরই নয়, বরং ভবিষ্যতের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে মেধাবী শিক্ষকদের আকর্ষণ কমাবে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ফেলবে এবং মেধাবীরা বিকল্প পেশায় আগ্রহী হবে।
এসময় তারা আরও বলেন, সরকারের উচিত শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদান, সুপার গ্রেড প্রদান এবং উচ্চতর পদমর্যাদা ও সুবিধা প্রদান করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করে বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে অবসরকালীন সুরক্ষা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ধৈর্য্য ধারণ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমষ্টিগত আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরাও মর্যাদা, সম্মান, ও ঐক্য রক্ষার যাত্রায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের পূর্ণ সমর্থন প্রত্যাশা করছি।