উত্তপ্ত জাহাঙ্গীরনগরে আবারও সংঘর্ষের শঙ্কা
গাড়ি ভরে বহিরাগত গুন্ডা এনেছে ছাত্রলীগ, টহলে আছে শিক্ষার্থীরা
- আশরাফুল, জাবি সংবাদদাতা
- প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০২:১৩ PM , আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০২:১৩ PM
-11616.jpg)
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিশমাইল ফটকে বহিরাগত গুন্ডা বাহিনী নিয়ে অবস্থান নিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই খবরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে বের হয়ে এসেছে। এই মূহুর্তে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস। আবারও সংঘর্ষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে বের হয়ে শহীদ মিনারে একত্রিক হন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে বহিরাগতসহ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কয়েকটি লেগুনা ও মোটরসাইকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান,বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে গতকাল রাতে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আজ আবারও তারা বহিরাগতদের নিয়ে বিভিন্ন গেটে তারা অবস্থান নিয়েছে। গতকাল পুলিশ আসায় আমরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ হামলাকারী ছাত্রলীগের টোকাইদের পক্ষ নিয়েছে।
এর আগে সোমবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার ভয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। পুলিশের উপস্থিতিতে সেখানে ঢুকে তাদের মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিভিন্ন হল থেকে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। ছাত্রলীগসহ বহিরাগত টুকাইরা পালিয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ৷ পুলিশি বাধায় উত্তেজনা ছড়ায় শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে।
পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও ছররা গুলি নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় সংবাদ সংগ্রহের কাজে দায়িত্ব পালন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হন।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলেও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনসহ ঐ হলের ছাত্রলীগ নেতাদের কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুর চালান।
রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে কল পেয়েই এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমার অনেক আগেই পুলিশ ফোর্স এসেছিল। এটা যেহেতু শিক্ষার্থীদের ঝামেলা সেহেতু পুলিশ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছিল। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই।