ঢাবির সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপকদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সভা অনুষ্ঠিত
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৮ PM , আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৮ PM

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ইমেরিটাস অধ্যাপকবৃন্দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় চলমান আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপকদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ ও অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মু. আবুল হাশেম খান, অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুন নবী, অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক ও অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান ও রেজিস্ট্রার জনাব প্রবীর কুমার সরকার।
সভার শুরুতে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল কোটা আন্দোলন ঘিরে ক্যাম্পাসে যা যা ঘটেছে এবং যে সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেন। মাননীয় উপাচার্যের নেয়া পদক্ষেপসমূহের বিষয়ে সভায় উপস্থিত সকলেই সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং উপাচার্য মহোদয়কে ধন্যবাদ জানান।
সভায় কোটা আন্দোলন ঘিরে নিহতদের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনার পাশাপাশি সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের নিন্দা, ঘটনাগুলোর দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত, ক্ষতিগ্রস্ত হলগুলোকে মেরামত করার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া, গ্রেপ্তার ও আটককৃত সকল শিক্ষার্থীর অবিলম্বে মুক্তির ব্যবস্থা করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংহতি জোরদার করা ও শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে বৈধ শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন প্রভৃতি বিষয়ে মত প্রকাশ করা হয়। সভা থেকে দেশে বর্তমানে উদ্ভূত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।