জবির দখলকৃত ১২টি হল উদ্ধারের কর্মসূচি গ্রহণ
- জবি প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১২ AM , আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১২ AM

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলনের পর এবার তাদের দখলকৃত ১২টি হল পুনঃ উদ্ধার করা জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কারীরা হল পুনঃ উদ্ধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হল পুনঃ উদ্ধার কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ সকল বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন এই কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
হল পুনঃ উদ্ধার কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, 'এক একটি হল দখলের সাথে বহু মানুষ নানান কারণে জড়িত হয়ে গেছে। কেউ জুলুমকারী দখলদার হিসেবে, আবার কেউ মজলুম হিসেবে। অন্যান্যভাবে তো সম্পৃক্ততা আছেই। যারা দোকানগুলো নিজেদের কস্টার্জিত অর্থ দিয়ে ক্রয় করেছেন, তারা মজলুম। মজলুমদের অধিকারের বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।'
তিনি আরো বলেন, 'শিক্ষার্থীরা হলগুলো উদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে, এইজন্য বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে স্বাগত জানাই। জবির সাবেক শিক্ষার্থীরাও অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আমরা শিক্ষকগণ তোমাদের ন্যায্য দাবীর সাথে সবসময় একমত।'
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট হল রয়েছে ১২টি। পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত এই হল গুলো ক্ষমতাসীন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের ব্যাবসায়িক কাজে দখলে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হল দখল করে রেখেছে পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য হাজী সেলিম।
দখলকৃত ১২টি হল গুলো- ড. হাবিবুর রহমান হল, শহীদ শাহাবুদ্দিন হল, শহীদ আনোয়ার শফিক হল, শহীদ আজমল হোসেন হল, নজরুল ইসলাম হল, তিব্বত হল, বাণী ভবন, আব্দুর রউফ মজুমদার হল, সাইদুর রহমান হল, আব্দুর রহমান হল, বজলুর রহমান হল, বংশাল ও ক্রাউন ভবন (যা পূর্বে বিলুপ্ত সরকারি জগন্নাথ কলেজের কর্মচারীদেরও আবাসস্থল ছিল)।