ভারতে চিকিৎসককে গণধর্ষণ, বিচার চেয়ে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- ঢাবি প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৫৫ PM , আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৫৫ PM

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে এক নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা কলকাতা টু বাংলাদেশ, সব জায়গায় এসব ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবি জানান। শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ‘আওয়াজ তোলো নারী' ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদী সমাবেশে এমন দাবি জানান তারা। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা তনু থেকে মৌমিতা, কুমিল্লা থেকে কলকাতা ; ধর্ষকের সাজা একটাই, মৃত্যু ছাড়া কথা নাই ; জাস্টিস ফর মৌমিতা, স্টপ রেপ ; এই অসুরদের জন্য মানবিকতা নয় ; আওয়াজ তোলো নারী’সহ নানা স্লোগান দেন।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা পারভীন বলেন, কলকাতায় ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রায়ঃশ্চিত্ব করতেই আমরা দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশেও অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনার মামলাই হয় না। অনেক ঘটনার মামলা হলেও তার কোনও বিচার হয় না। এমনও হয় যে অনেক ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল না হলে কেউ জানতেও পারে না। আমরা চাই, এমন ঘটনা যেন না হয় বা হলেও যেন ভুক্তভোগী নারী যেন তার বিচার পায়।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আলেয়া তাহমিম বলেন, ধর্ষণের ঘটনার পর মেডিক্যালে ঢুকে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে সব ধরনের প্রমাণ নষ্ট করা হয়। বাইরের কথা বাদ দিলেও, আমাদের দেশে তনু, মুনিয়ার বিষয়েও আমরা কোনও বিচার পাইনি। সাড়ে ৪ হাজার ধর্ষণ মামলার মধ্যে হাতে গোনা ৪-৫টা মামলার বিচার হয়েছে। আমাদের দাবি, স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা যেখানে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, সেখানে নারীদের জন্য বিচার চাই, আইন ও তার প্রয়োগ চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের এক শিক্ষার্থী বলেন, দেশে এত ধর্ষণের মাঝে আমরা হিসেব মিলাতে পারি না। কিন্তু সেসবের কোনও প্রতিকার হয় না। এসব নিয়ে প্রোপারলি নিউজও হয় না। এমনও হয়, ঘটনার চার্জশিট গঠন করতেই বছর সময় লেগে যায়। বছরের পর বছর পার হলেও বিচারকার্য শেষ হয় না । আমরা ধর্ষণ হওয়ার আগে চুপ থাকি, যখন কাউকে ধর্ষণ করে হত্যা করে ফেলে যায় তখন আমরা রাজুতে এসে প্রতিবাদের জন্য দাঁড়াই। এক হিসাব অনুযায়ী এক বছরে সাড়ে ৪ হাজার ধর্ষণের দাখিলকৃত মামলা হয়েছে। কিন্তু পরিবারের সদস্য, শিক্ষক, বন্ধুদের দিয়ে নারীরা যে পরিমাণ হেনস্থার শিকার হয় সেটার হিসাব কেউ রাখে না। প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সী এক ডাক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তার রক্তাক্ত দেহ ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।