মারধরের শিকার ঢাবি অধ্যাপক ড. জামাল গুরুতর আহত, শিক্ষক সমিতির নিন্দা

ঢাবি
অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন  © টিবিএম ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীনের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও বিচার দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শুক্রবার (১৬ আগষ্ট)  শিক্ষক ঢাবি সমিতির  এক সংবাদ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের ওপর গত ১৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে যে হামলা চালানো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন ধানমন্ডি ৩২নং রোডে পৌছালে তিনি সশস্ত্র ব্যক্তিদের দ্বারা আক্রান্ত হন। এর ফলশ্রুতিতে তাঁর মাথার একাংশ ফেটে যায়, বাম হাত ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের ওপর সংঘটিত এ আক্রমনের সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছে এবং তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জোর দাবি জানাচ্ছে।”

জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী ১৪ই আগস্ট রাত ৯টার সময় অধ্যাপক ড. জামাল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে মোমাবাতি প্রজ্জলনের জন্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের মাথায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে এবং তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে অতর্কিত হামলা চালায়।

আনুমানিক রাত ৯টা ১০ মিনিটে তাদের হাত থেকে প্রানভয়ে বাঁচার জন্য অধ্যাপক জামাল দৌড় দেন। সেসময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধাওয়া করে কয়েক দফা মারতে মারতে রাসেল স্কয়ারের সামনে থেকে স্কয়ার হাসপাতালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেখানে চতুর্দিক থেকে অধ্যাপক জামালকে ঘিরে আবারও উপর্যুপরি মারতে থাকে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত ভেবে দুর্বৃত্তরা তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন এবং কাছে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে অধ্যাপক জামালকে ফেলে যায়। 

গুরুতর আহত হওয়ায় বর্তমানে অধ্যাপক জামালের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি একটি গোপন স্থানে থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। তার মাথায় দুই দিকের অংশ ও বাম হাতের কব্জির জখম গুরুতর। এছাড়াও শরীরের পিঠ, হাঁটু, হাত ও পায়ের বিভিন্ন অংশে জখম রয়েছে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. জামালের মন্তব্য জানতে একাধিকবার তার ফোন নাম্বারে কল করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।