জবির ধূপখোলা মাঠ পুনঃদখলে, মাঠের পাশেই হবে হল

জবি
  © টিবিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দখলকৃত কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটি আবার পুনঃদখলে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং মাঠটির পাশের ভবনটিকে হলে রুপান্তরিত করতে প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে একটি বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এবং ঢাকা জেলা প্রশাসককে নিয়ে মাঠ উদ্ধারে যান। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে এক শিক্ষার্থী জানান, অনেক দিন যাবৎ আমরা এই মাঠ ব্যবহার করে আসছি। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন এটি অবৈধ ভাবে দখল করেছে। আমরা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আজ আবার আমাদের মাঠ পুনঃ দখল করলাম।

এনিয়ে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন বলেন, 'এটি আমাদের হাত ছাড়া হয়েছিল এখন আমরা ফিরে পেয়েছি। আগামীতে আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বাকি দাবি আদায় করবো' ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান এসময় বলেন, 'অনেক দিন আমরা এটি ব্যবহার করতে পারিনি। ঐতিহাসিক দিন শুরু হলো। অনেক মানুষ এই এলাকায় বসবাস করে আমরা সবাই মিলে মিশে থাকবো এখানে 'তিনি আরো বলেন, 'কিছু দুর্বৃত্তরা হল গুলো দখল করেছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে টেবিলে বসে সুস্থ সমাধানের চেষ্টা করবো। আর এই মাঠের পাশের নির্মাণাধীন ভবনটি সম্পর্কে আমরা জানি না কারা নির্মাণ করছে খোঁজ নিয়ে তা হলের জন্য ব্যবস্থা করবো।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক  ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী এনিয়ে বলেছেন, 'আইন শৃঙ্খলা মেনে আমরা সবকিছু উদ্ধার করবো। জেলা প্রশাসক তারা আমাদের সহযোগিতা করবে। আজকে থেকে আমরা এই মাঠে ব্যবহার করবো। মাঠটি উদ্ধার নিয়ে যে ছাত্ররা কাজ করছে তাদের কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি। এছাড়া আমরা দ্রুত একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করবো।' উল্লেখ্য যে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৫নং ওয়ার্ডের আওয়তাধীন মাঠটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মাঠের মালিকানা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কাগজ-পত্র না থাকলেও এটি ১৯৮৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মাঠের কিছু অংশ  শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছিলেন। তখন থেকে মাঠটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।