দেড় মাস পর ক্যাম্পাস খুললেও শিক্ষার্থী শুন্য উচ্ছ্বাসহীন চবি

চবি
  © ফাইল ছবি

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিক্ষকদের সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিল নিয়ে গত ১ জুলাই থেকে দেড় মাসের অচল অবস্থা কাটিয়ে আজ খুলেছে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তবে ক্যাম্পাসে নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা,নেই কোনো উচ্ছাস। শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে ফুটে উঠেছে সহসাই ক্লাসে ফেরা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে আশংকা ও অনিশ্চয়তার বিষয়গুলো। রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হবে কিনা তা নিয়ে কোন নির্দেশনা আসেনি। উপচার্য,উপ উপাচার্য, প্রক্টর ও হলগুলোর প্রভোস্টের পদত্যাগের পর মূলত স্থবির রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ১৯ আগস্ট থেকে চবির ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেয়া হলেও পরে সে সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়েছে। চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার কে এম নুর আহমদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যত কোন প্রশাসন না থাকায় খুলবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমির কার্যক্রম শুরু করার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তা সেটা স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন আসা পর্যন্ত এর একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে না। নতুন প্রশাসন নিয়োগের পরেই তারা সিদ্ধান্ত নিবে কখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। কবে নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসন নিয়োগ হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনো তথ্য আসেনি, আমরা কিছুই জানি না। সেই সাথে স্থগিত করা হয়েছে হলে আসন বরাদ্দ দেওয়া, বন্ধ রয়েছে শাটল ট্রেন।

ক্যাম্পাস খুললেও শিক্ষার্থীরা কেন আসছেন না এ বিষয়ে চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষার্থী সেশনের শিক্ষার্থী তাজুল ইসলাম নিহাল বলেন - কার্যত কয়েক মাস যাবত ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। ইতিমধ্যে ভিসি, প্রক্টর, হলের প্রভোস্ট সহ সবাই পদত্যাগ করায় ক্লাস বা প্রশাসনিক কার্যক্রম কবে নাগাদ শুরু হবে তার কোনো নিশ্চয়তা না থাকায় বাসা থেকে ক্যাম্পাসে যাচ্ছি না। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী নয়ন মিয়া বলেন -হল গুলো সীলগালা করা হয়েছে সেই সঙ্গে নতুন করে এলটমেন্ট ও দিচ্ছে না ক্যাম্পাসে গিয়ে অবস্থান করার নিশ্চয়তা পাচ্ছি না বলে আপাতত সব কিছু স্বাভাবিক না হলে ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়া কষ্টকর।

প্রশাসন বিহীন অচলাবস্থায় নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম সৌরভ বলেন - অনেকেই ছুটিতে বাড়িতে থাকায় অনেকদিন ক্যাম্পাসে যায়নি,হল প্রশাসনের দায়িত্বে কেউ না থাকায় আমরা হলে ফিরে আমাদের জিনিস পত্র, মালামাল কিছুই ঠিকমতো পাচ্ছি না এই অবস্থায় নিরাপত্তা ঝুঁকির জন্য ই ক্যাম্পাসে যাচ্ছি না।এদিকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার বিষয়টিও অনিশ্চিত তাই সবকিছু মিলিয়ে ক্যাম্পাস খুললেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্রুত ক্যাম্পাসে চলে আসার আগ্রহ নেই। তবে শিক্ষক- শিক্ষার্থী সবাই আশাবাদী ক্লিন ইমেজের একজন উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনকে ঢেলে সাজিয়ে দ্রুত হলে বৈধ ভাবে আসন বরাদ্দ নিশ্চিত করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।