রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ১দফা কর্মসূচি পালন

রবি
  © টিবিএম

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহ্ আজমের পদত্যাগের দাবিতে একদফা কর্মসূচি পালন করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-১এর মূল ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের এমপির পক্ষে ভোট চাওয়াসহ নানা তথ্য তুলে ধরেন। তবে এই ১দফা দাবির বিরুদ্ধেও রয়েছে সংখ্যা গরিষ্ঠ শিক্ষার্থীর অবস্থান।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো: হাবিবুর রহমান উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি করে বলেন, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ব্যবহারের অনুমতি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়া, বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পদত্যাগের দাবি না মানা হলে আমরা আমরণ অনশনে যাবো।

বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী এস.এম. মাহফুজ আলম সমুদ্র বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে উপাচার্য আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস বানিয়েছিলেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে স্থানীয় আওয়ামীলীগকে দিয়ে আন্দোলনকারীদের নানা হয়রানি করা হয়েছে। 

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মওদুদ আহমেদ বলেন, আমরা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। আমরা চাই উপাচার্য এই সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করবেন।

১দফা দাবির বিরুদ্ধে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অর্থনীতি বিভাগের মোঃ শাকিল আহমেদ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা গরিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য স্যারের পদত্যাগ চাই না। গুটিকয়েক শিক্ষার্থীর মতামত কখনো প্রাধান্য পাবে না৷ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে ১৩ দফা দাবি দেওয়া হয়েছে সেখানে উপাচার্য স্যারের পদত্যাগ চাওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী রুকাইয়া ইসলাম রুকু বলেন, আমরা উপাচার্য স্যারের পদত্যাগ চাই না। কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যেনো আর কোনো প্রতিবন্ধকতা না আসে এবং দ্রুততার সাথে ক্লাস এবং পরীক্ষা শেষ করতে চাই। পদত্যাগই সমাধান নয়।

এবিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১৩দফা দাবি দেওয়া হয়েছে। সেই দাবিগুলোর ইতোমধ্যে কিছু দাবি পূ্রণ করা হয়েছে এবং বাকি দাবি পূরণে কাজ করছি। ১৩ দফা দাবির মধ্যে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি আসেনি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে একটি আলোচনা সভাও করা হয়েছে। সেখানেও শিক্ষার্থীরা পদত্যাগের দাবি তোলেনি।