ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
- জাবি প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৯ PM , আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৯ PM
বাংলাদেশ-ভারত অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত, উজানে বাঁধ বন্ধ করা এবং দাসত্বমূলক সকল চুক্তি বাতিল করাসহ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এর পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বটতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি সমাবেশ করেন তারা। এসময় বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করা হয় ও ভারতীয় অনুদানে ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করা হয়।
আন্তর্জাতিক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করতে পারলেও এখনো ভারতীয় অগ্রাসন চলমান। শেখ হাসিনা সরকার যেভাবে ভারতকে শুধু দুইহাত দিয়ে দিয়ে গেছে, সে দিন আর নাই। পাকিস্তান, চীন, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার মত বাংলাদেশেও ভারতের বন্ধু দেশ থাকবে না যদি অনতিবিলম্বে সকল অন্যায্য চুক্তি বাতিল করা না হয়। জাবিতে নির্মাণাধীন চারুকলা ভবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, যে ভারত আমাদের ফেলানী কে হত্যা করেছে, সীমান্তে মানুষ হত্যা করে এবং বন্যায় বাধ খুলে বালাদেশের মানুষকে প্লাবিত করে সেই দেশের অনুদানে জাবিতে কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না ।
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ৫৪ টা আন্তর্জাতিক নদীর বেশিরভাগ নদীতেই অবৈধ বাঁধ দিয়ে একদিকে যেমন গ্রীষ্মকালে পানি বন্ধ করে খরার সৃষ্টি করে অন্যদিকে বর্ষাকালে বাঁধ খুলে বাংলাদেশের মানুষকে বন্যার পানিতে প্লাবিত করে । এছাড়াও গত ১৬ বছরে ভারত বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য ও বাজারে পরিণত করেছে। এখনই সময় এসেছে ভারতীয় এসকল আগ্রাসন রুখে দিতে। ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার গত ১৬ টি বছরে আমাদের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। যেভাবে স্বৈরাচার সরকারকে উৎখাত করে আমাদের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছি সেভাবেই ভারতীয় সকল অন্যায্য চুক্তি বাতিল ও আগ্রাসন রুখে দিতে হবে। সেইসাথে তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আহবান করেন ভারতের এসব অন্যায্য চুক্তির আন্তর্জাতিক সমাধান করার জন্য।
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ বলেন, ভারতের সাথে যৌথ ভাবে থাকা প্রায় ৫৪ টি নদীতে বাধ দিয়ে ভারত বাংলাদেশকে শাসন করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে বন্যার পানিতে এভাবে অস্থিতিশীল করলে ভারতকেও স্থিতিশীল থাকতে দেওয়া হবে না, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করলে ভারতের সেভেন সিস্টারকে অস্থিতিশীল করে তোলা হবে।