ইউল্যাব অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ  

ঢাবি
  © সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অসহযোগিতা, স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পদলেহন, আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তারের পদত্যাগের দাবিতে চারদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার (২৫ আগষ্ট) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময়, প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল গেটে তালা লাগিয়ে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তারের উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ ও বিতর্কিত। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত একটা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, পরে একই ভাবে তিনি কলেজের অধ্যক্ষ হন।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন আত্মীয় নিয়োগ বোর্ডে থাকা সমীচীন নয়। কিন্তু ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও প্রিন্সিপাল নিয়োগ বোর্ডে সেলিনা আক্তারের স্বামী আইইআরের সাবেক পরিচালক ড. আব্দুল হালিম ছিলেন যথাক্রমে নিয়োগ ও প্রার্থী বাছাই  বোর্ডের সদস্য ও সদস্য সচিব । তিনি বোর্ডে প্রভাব বিস্তার করে  নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করে তার স্ত্রীকে ভাইস প্রিন্সিপাল এবং পরবর্তীতে প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। অনেক সিনিয়র শিক্ষককে বঞ্চিত করে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ক্ষমতা ও তখনকার ভিসির এলাকার প্রার্থী  হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

ইউল্যাবের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম হাসিব বলেন, নিয়োগের পরপরই তিনি স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্র‍য় গ্রহণ করেন।  বিরোধী মতের শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেয়া, নিজের মত বিভিন্ন সম্মাননী ভাতা বৃদ্ধি করা, নতুন শিক্ষক নিয়োগে নগ্ন দলীয়করণ, ছাত্র আন্দোলনের সময় বিভিন্ন ছাত্রদের ও তাদের অভিভাবকদের হুমকি প্রদান করেছেন তিনি।