উপাচার্য হীনতায় ভুগছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
- রোহান চিশতী, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৪ PM , আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৪ PM
সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে দেখা যায় উপাচার্যদের পদত্যাগের হিড়িক। গত সরকারের আমলে নানান অবৈধ কাজ করেও পার পেয়ে গেছেন তারা। তবে ছাত্র-শিক্ষকদের তোপের মুখে ৫ আগস্টের পর থেকে তাদের পদত্যাগ করতেই হয়। তেমনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরকেও করতে হয় পদত্যাগ।
বুধবার (১৪ আগস্ট) উপাচার্য পদত্যাগ করলে এখন পর্যন্ত পাঁচ অনুষদের ডিন, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শক এবং ৪ হল প্রভোস্টও পদত্যাগ করেন। ফলে স্থবির হয়ে পড়ে সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম। উপাচার্য না থাকায় পদগুলোও রয়েছে ফাঁকা হয়ে। তবে উপাচার্য পদত্যাগের পূর্বে কলা অনুষদের ডিন ও প্রক্টর হিসেবে দু’জন শিক্ষককে নিয়োগপত্র পাঠালেও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তারা এখনও দায়িত্ব নেন নি।
এমন অবস্থায় বেশিরভাগ বিভাগের সেমিস্টার ফলাফল আটকে পড়ায় সেশন জটের আশঙ্কাও করছেন শিক্ষার্থীরা। পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত বলেন, শিক্ষকদের কর্মবিরতি এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম দেরিতে শুরু হয়েছে। এখন আবার উপাচার্য না থাকায় আগের সেমিস্টারের ফলাফল পাচ্ছি না। তাই পরীক্ষাও শুরু করা যাচ্ছে না। সেশনজটে পড়তে পারি আমরা।
এছাড়াও প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে হলের সিট দখল, অতীত আক্রোশ থেকে মারামারি, শিক্ষক বহিষ্কারের দাবির মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেই চলেছে। এমতাবস্থায় দ্রুতই উপাচার্যের নিয়োগ চায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম বলেন, উপাচার্য আমাদের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। তার পদত্যাগের পর বিভাগীয় প্রধান না থাকায় একাডেমিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুতই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হোক এবং সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে উঠুক।