বন্যার্তদের দুঃখ ঘোচাতে নিরলস কাজ করছে নোবিপ্রবি স্বেচ্ছাসেবক দল

নোবিপ্রবি
  © টিবিএম

নোয়াখালীর বন্যার্ত মানুষের পাশে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। রাত দিন পরিশ্রম করে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বন্যার্ত মানুষের ঘরে, আশ্রয় কেন্দ্রে। 

টানা বৃষ্টি এবং ভারত থেকে আসা পানিতে বন্যার সৃষ্টি হয় নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লায়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলোর সম্মিলিত চেষ্টায় "বন্যার্তদের পাশে নোবিপ্রবিয়ান" নামে একটি ব্যানারে সকলে একত্রিত হয়ে কাজ শুরু করে। অনলাইন ও অফলাইনে ফান্ড কালেকশন করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ায় তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ভবনে দিন-রাত প্যাকেজিং এর কাজ চলে আর সকাল হলে সেগুলো পৌঁছে যায় বন্যার্ত পরিবারের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন, ভাড়া করা পরিবহনে এসব সহায়তা পৌঁছানো হয়। 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের  সমন্বয়করা,  বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এবং নোবিপ্রবি প্রেসক্লাব ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে বানভাসি মানুষের কাছে। 

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংগৃহীত অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় খাবার, জরুরি ওষুধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইনসহ খাদ্যসামগ্রী কিনে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং লক্ষ্মীপুরের বানভাসি মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের উদ্যোগে প্রতিদিন নোয়াখালীর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা খাবার, শিশুখাদ্য ও জরুরী ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। 

বন্যার্তদের পাশে নোবিপ্রবি প্ল্যাটফর্মের সেচ্ছাসেবী  রাকিব রহমান জানান, তারা ২১ তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আশ্রয় কেন্দ্র খোলার মাধ্যমে তাদের কার্যকর শুরু হয়, এখানে প্রায় ২৫০ জন আশ্রয় নিয়েছে। ইতিমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ নবজাতকের জন্ম হয়েছে। তিনি আরো জানান তারা আনুমানিক ১০ লাখ টাকার মতো অর্থ সংগ্রহ করেছ। তারা নিজেদের অর্থায়নে ১৪ টন খাবার বিতরণ করেছে  এবং আরো ১০ টন খাবার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য সংগঠনে হয়ে তাদের মাধ্যমে বানভাসি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন,  তাদের এ সেবা চলমান থাকবে।