জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে 'শহীদি মার্চ'

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
  © টিবিএম

ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে 'শহীদী মার্চ' করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। এসময় শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মিছিলে অংশ নেয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা "আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই", "লাখো শহীদের রক্ত, বৃথা যেতে দিবো না", "আবু সাইদের রক্ত, বৃথা যেতে দিবো না", "স্বৈরাচারের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও", "স্বৈরাচারের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও", "বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও", "ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা" ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

এ সময় গণ অভ‍্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে ছাত্র প্রতিনিধিরা বলেন, ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার গণ অভ‍্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ফলে এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে বাংলাদেশ। এই স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই যেখানে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে ভারসাম্যমূলক জীবন যাপন করতে পারবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা বলেন, স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে গিয়ে আমরা অনেক তাঁজা প্রাণ হারিয়েছি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিলো বৈষম্যহীন, মানবিক ও ন‍্যায়সঙ্গত বাংলাদেশ গঠন করা। কিন্তু সেটা বারবার ব‍্যহত হয়েছে। যখন দেশে কোন ধরনের আইন কানুন মানা হচ্ছিলনা তখন আমাদের ছাত্ররা, তরুণ প্রজন্ম একটা বৈষম্যহীন দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে আন্দোলনে নামে। আর সেটা সফল করতে গিয়ে যে পরিমাণ প্রাণ দিতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। তাঁরা যে লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছে সেই মহান লক্ষ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।