দাবি উপেক্ষা করে সভাপতির দায়িত্ব, প্রত্যাহার চায় শিক্ষার্থীরা

জাবি
  © সংগৃৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি)  আইন ও বিচার বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহযোগী অধ্যাপক সুপ্রভাত পালকে। 

আজ আজ সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর ) বিশ্ববিদ্যালয়ের  ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্যটি জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, আইন ও বিচার বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক জনাব তাপস কুমার দাস-এর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে উক্ত বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-১৯৭৩ এর প্রথম স্ট্যাটিউটের ৯(১) আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব সুপ্রভাত পালকে যোগদানের তারিখ হতে ৩৬(ছত্রিশ) মাসের জন্য উক্ত বিভাগের সভাপতি নিয়োগ করা হলো। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।

এদিকে সুপ্রভাত পালকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার পর পরই তার প্রত্যাহার চায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি  উপেক্ষা করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা জানান,  এর আগে এক শিক্ষার্থীকে জনসম্মুখে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

শিক্ষার্থীরা আরোও জানান , চলমান ব্যাচের দুই মেয়ে শিক্ষার্থীকে লাথি মারার হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তা ছাড়া বিভাগের এক মেয়ে শিক্ষার্থী বর্তমান আইন অনুষদের ডিনের বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এমনকি তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়। 

এছাড়াও তিনি  শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে কিছু শিক্ষার্থীর রেজাল্ট বাড়িয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। 

এ বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাসনিম বলেন, আমরা তাকে আমাদের বিভাগের সভাপতি হিসেবে চাই না। এজন্য আমরা তার পদত্যাগ চেয়ে একটা বিক্ষোভ মিছিল করবো। তবে সুপ্রভাত স্যার যদি নিজ থেকেই যোগদান না করেন তাহলে আমরা আমাদের কর্মসূচী প্রত্যাহার করবো। 

সার্বিক বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক সুপ্রভাত পালকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য এর আগে আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা আইন ও বিচার অনুষদের ডিন অধ্যাপক তাপস কুমার দাস ও সহযোগী অধ্যাপক সুপ্রভাত পালের চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়ে মানববন্ধন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন অবরোধ কর্মসূচী পালন করেন।