জাবির সেই ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ AM , আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ AM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ‘শ্যুটার শামীম’ খ্যাত শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে গণধোলাই দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। মারধরের পর হাসপাতালে নেয়া হলে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে তার মৃত্যু হয়। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কামাল হোসেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকসংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম মোল্লা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাঁকে আটক করে গণধোলাই দেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাকে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল টিমের খবরে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল নিরাপত্তা শাখায় আসে। এসময় পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম শামীমকে ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শামীম মোল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকাতে থাকেন। আশেপাশের এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, জমিদখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া তার বিরদ্ধে চারটি মামলাও রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা যে হামলা চালায় ওই ঘটনায় সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, বিকেলে খবর পেয়ে নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ৩৯ ব্যাচের সাবেক ছাত্রকে উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়। পরে তার সাথে কথাবার্তা বলে ওই ছাত্রে বিরুদ্ধে আগে যে মামলা রয়েছে সে মামলায় তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তাকে আশঙ্কাজনক মনে হয়নি। এমনকি তিনি নিজে হেটে পুলিশের গাড়িতে উঠেছেন। এরকম আসামীকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করার বিষয়টি রহস্যজনক। নিশ্চিত নাহয়ে এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত বলে মনে করছি না।