বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ববিতে বিক্ষোভ

ববি
  © টিবিএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর)  সন্ধ্যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। 

এসময় ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী খাজা আহমেদ বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সন্ত্রাসী কায়দায় বাংলাদেশের মানুষকে সাপের মতো পিটিয়ে হত্যা করেছে। বাংলাদেশের ছাত্র জনতা জুলাই বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে শতসহস্র শহীদের বিনিময়ে বৈষম্যবিহীন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা আশা পোষণ করতে পারি,আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, যে বাংলাদেশ আমরা বিনির্মান করতে যাচ্ছি, সে বাংলাদেশে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড পরিচালনা হবে না। আমরা স্বপ্ন দেখি ষে আওয়ামী লীগ হোক,সে ছাত্র শিবির হোক,ছাত্রদল হোক বা বাম সংগঠনের কোনো ছাত্র হোক, সে হিন্দু হোক,সে বোদ্ধ হোক, খ্রিস্টান কিংবা মুসলমান হোক, আমাদের একটাই দাবি কোনো হত্যাকাণ্ড না কোনো রকমের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলার বুকে আর চলতে দেওয়া হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসাইন বলেন, আমরা আমাদের সহপাঠী, ভাই-বোন ও বন্ধুের বলতে চাই, এভাবে বিচারবর্হিভূত হত্যা কোনোভানেই মানা যায় না। আমাদের দাবি থাকবে, কেউ যদি কোনো অন্যায় করে তার বিচার করবে প্রশাসন। প্রশাসন তার বিচার নিশ্চিত করবে, প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে সাহায্য করবে। আমরা আজ মব জাস্টিসের বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়েছি।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাওনুর রহমান শাওন বলেন, যেকোনো হত্যাকাণ্ডকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের সর্বোচ্চ বিচার করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বলা হয়, সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্ররা কেনো এ হত্যাকাণ্ড করলো,কার মদদে কিভাবে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হলো। যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য আছে,প্রসাশন আছে তবুও কেন এই হত্যাকাণ্ড হলো এবং কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।