ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

বুয়েট
  © ফাইল ছবি

ছাত্রলীগের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিরোধ বেশ পুরনো। আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার পর ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো ক্যাম্পাসে। তবে ছাত্রলীগ আপিল করে আবারও বুয়েটে রাজনীতি ফিরিয়ে নিয়ে আসার তৎপরতা চালায়। এদিকে প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা যেন ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এই শিক্ষার্থীরা আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেননি।

বুয়েটের ১৯তম ব্যাচের একদল শিক্ষার্থী এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজ বিকেল চারটায় এই শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বুয়েটের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন উপাচার্য নিয়োগের পর যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। হল থেকে এখনো ছাত্রলীগের নেতাদের বহিষ্কার করা হয়নি। তাঁরা বলছেন, হল-ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন। সর্বশেষ গতকাল সোমবার রাতে দুজন শিক্ষার্থী হলে উঠতে চেয়েছেন। এতে সেখানে একধরনের অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে গতকাল মধ্যরাতেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ১৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী, একটি খসড়া আছে, যেখানে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া কোনো ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে না এবং কোনো কার্যক্রম চালানো যাবে না। কিন্তু এসবের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির দৃশ্যমান পদক্ষেপ উপস্থাপন করতে হবে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।