বিশ্বনবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও মিছিল

রবি
  © টিবিএম

ভারতের ধর্মগুরু রামগিরি মহারাজ ও বিজেপি নেতা নিতেশ নারায়ণ রানের বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল  করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-১ থেকে প্রতিবাদ মিছিলটি শুরু হয়ে স্থানীয় শাহজাদপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় তারা 'নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার, ইসলামের শত্রুরা, হুশিয়ার সাবধান, আমার নেতা তোমার নেতা, বিশ্বনবী মোস্তফা, দুনিয়ার মুসলিম ,এক হও এক হও, অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট একশন, রক্তে আগুন লেগেছে , লেগেছে রে লেগেছে, জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই , জিহাদ করে মরতে চায় ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

বিশ্ব নবীকে কটুক্তির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নাছরুল হক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা.) আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন। তিনি গোটা মানবজাতির নেতা এবং মুক্তিদাতা। তিনি বিশ্ব মানবজাতির জন্য রহমত স্বরূপ হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। তাই ইসলামে উনাকে সম্মানিত করা হয়েছে এবং উনার বিরুদ্ধে কটূক্তি কারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির (মৃত্যুদণ্ডের) বিধান রাখা হয়েছে। ভারতের কিছু গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ অঞ্চলের ধর্মীয় সম্প্রতি নষ্টের জন্য বারংবার মহানবী (সা.) -কে নিয়ে কটূক্তি করে যাচ্ছে। যা এ অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রসঙ্গত, রাসুল (সা.)-এর শানে বেয়াদবিমূলক মন্তব্য, বক্তব্য বা তাঁর প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রূপকারী এবং ধর্মীয় কোনো বিধান নিয়ে ব্যঙ্গকারী ব্যক্তি উম্মতের সর্বোচ্চ ঐকমত্যে মুরতাদ বলে সাব্যস্ত হবে এবং তার জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে।