ঢাবির কবি জসীম উদ্দীন হলে শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক ও বৃত্তি প্রদান

ঢাবি
  © টিবিএম

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল এবং ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্‌দীন হল স্বর্ণপদক লাভ করেছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই স্বর্ণপদক প্রদান করেন। এছাড়া, অনুষ্ঠানে হলের ৮জন শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি এবং ২১জন শিক্ষার্থীকে প্রভোস্ট উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহীন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ ও ট্রাস্ট ফান্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম অনুষ্ঠানে 'কবি জসীম উদ্‌দীনের দেশ-কাল-পাত্র' শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ সোয়েব-উর-রহমান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান স্বর্ণপদক ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের সফলতা কামনা করে বলেন, কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্টফান্ড গঠনসহ বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কার্যক্রমে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য উপাচার্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে হলের ২০১৬-২০১৭ এবং ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. আব্দুর রহমান জীম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মুহাম্মদ ইশতিয়াক হোসাইন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আশিক রাব্বানী, গণযোগাযোগ ও

সাংবাদিকতা বিভাগের জোবায়ের আহম্মেদ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মো. নূর আলম, আরবী বিভাগের মাহমুদুর রহমান, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মো. আব্দুল হামিদ এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন।