মসিউর আমাকে জোরাজোরি করে সভাপতি বানিয়েছে:বেরোবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি
- বেরোবি প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৬ PM , আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৬ PM
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বিতর্কিতদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে জেনে তার সম্মাননা স্মারক প্রত্যাখ্যান করেন। এ বিষয়ে বিতর্কিত ব্যক্তির তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ চন্দ্র রায় বলেন মসিউর আমাকে জোরাজোরি করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি বানিয়েছে। আবু সাঈদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি শিক্ষক মশিউর যেই বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, সেই বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
কমলেশ চন্দ্র রায় বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহীদ আবু সাঈদসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা কারি। আসলে আমাকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের যে সভাপতির কথা বলা হচ্ছে আমি নিজ থেকে কখনো এটা হতে চায়নি। আমাদের এক কলিগ মশিউর আমাকে জোর করে আমাকে সভাপতি বানিয়েছে। তিনি নিজেই এটা সম্পাদনা করতো ।তিনি আমাকে বলেছিলেন আপনি শুধু উপস্থিত থাকবেন ,আমিই সবকিছু করব। আমি কখনো কাউকে প্রোগ্রামে ডাকিনি। আমি এই সংগঠনের গঠনতন্ত্র সম্পকে কোন কিছু জানতাম না। কেন্দ্র থেকে কেউ কোন দিন আমাকে কোন কিছু জানায়নি। আমি জীবনে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলাম না। আমার কোন উচ্চ ভিলাস নেই। তারপরেও স্বাক্ষর নিয়ে দূরভাগ্যক্রমে সে আমাকে এই সংগঠনের সাথে যুক্ত করে ফেলেছে।কেন্দ্র থেকে কেউ কোন দিন আমাকে বলেনি যে আপনি সভাপতি হচ্ছেন বা হবেন।
তিনি বলেন, ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ বিষয় নিয়ে আমার সাথে বসেছিল। আমি সবার সামনে আমার অবস্থান ক্লিয়ার করেছি। সেদিনই আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছি। শিক্ষক মশিউরসহ আবু সাঈদ হত্যার সাথে যারাই জড়িত দেশের আইন আদালত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে এটাই আশা করি।
ছাত্র জীবনে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালের অক্টোবরে যোগদান করি। এর আগে আমি রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ ১০ থেকে ১১ বছর চাকরি করেছি। খোঁজ নিয়ে দেখবেন আমার শিক্ষাজীবন এবং ছাত্র জীবনে আর কখনো কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলাম না।
এবিষয়ে তিনি আরও বলেন, ২০১১ সালের জয়েন করার পর আমি বুঝতে পারলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন যে প্রশাসন আসে সে প্রশাসনের আন্ডারে এক একটা সংগঠন তাদের শক্তিশালী অবস্থান জানান দেয়। তখন আমাকে হলুদ দলের সদস্য হওয়ার জন্য ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছিল। আমি ফরম পূরণ করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে যখন জানতে পারি
এসব সংগঠন শুধু নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ এবং প্রশাসনকে খুশি করার জন্য সব কিছু করে তখন থেকে আমি আর কোন সংগঠনের সাথে যুক্ত নেই।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কোন রাজনৈতিক সংগঠন কিনা এর উত্তরে তিনি বলেন, না এটা একটা অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আমি চিনি। যেটা বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করে। এখন শুধুমাত্র একটা অরাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার কারণে একজন ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা কি ঠিক হবে? নাকি তার দোষ গুণ বিচার করে তাকে বিবেচনা করতে হবে? এটা আপনাদের উপরই ছেড়ে দিলাম। এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে পলাতক থাকার কারণে মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।