নোবিপ্রবিতে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা

নোবিপ্রবি
  © টিবিএম

দখলদার ইসরাইলের হামলায় হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহতের ঘটনায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইসরাইলের জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি ও শহীদ ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজার নামাজের আয়োজন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাদ যোহর (দুপুর ১:৪৫ মিনিটে) গায়েবানা জানাজা নামাজের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে এ প্রতিবাদ শেষ হয়। 

জানাজায় অংশগ্রহণকৃত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইসতিয়াক জামিল বলেন, প্রত্যেক মুসলিম পরস্পর ভাই ভাই। এমতাবস্থায়, কেউ যদি আমার ভাইয়ের গায়ে হাত তোলে তাহলে সেই হাতকে শক্তভাবে প্রতিহত করার দায়িত্বও আমাদের। আজ দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনে আমার ভাই-বোনদের নির্বিচারে, নির্মমভাবে হত্যা করছে। আমরা তাদের এই জুলুম-অত্যাচারের প্রতিবাদ এবং ঘৃণা পোষণ  করছি। দখলদার ইসরাইলের ইহুদি এবং তাদের মদদপুষ্টরা মনে করছে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে শহীদ করে বেহেশতে পাঠিয়ে তারা বিজয় অর্জন করেছে। তবে তারা জানে না আমাদের গন্তব্য তো বেহেশতই। আমরা সে দিক বিবেচনায় বিজয় অর্জন করেছি। একজন ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে শহীদ করে হামাস এবং সমগ্র মুসলমানদের দমিয়ে রাখা যাবে না। একজন ইয়াহিয়া সিনওয়ার শহীদ হয়েছে, কিন্তু লক্ষ লক্ষ ইয়াহিয়া সিনওয়ার তৈরি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত,গত ১৭ অক্টোবর রাতে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার দাবি করে ইসরায়েল। সিনওয়ারের মৃত্যুর ঠিক আগে মুহূর্তের ড্রোন ফুটেজও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কয়েকমাসের মধ্যেই সিনওয়ারকে হত্যার দাবি করছে ইসরায়েল বাহিনী। গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়া নিহত হওয়ার পর ৬ আগস্ট ৬১ বছর বয়সী ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে নতুন নেতা হিসেবে বেছে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল হামাস।