সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীরা ছাত্রদলে ভিড়তে মরিয়া, হত্যাকারীদের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই- চবি ছাত্রদলের সভাপতি

চবি
  © সংগৃহীত

জুলাই বিপ্লব এবং ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি বিরোধীতাকারী গনহত্যায় সহায়তাকারী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক অনেক নেতাকর্মীকে ইতিমধ্যেই ছাত্রদলের মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিয়ে নতুন পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে। অথচ ৫ ই আগস্ট পর্যন্ত এদের অনেকের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ অমান্য করে হলে অবস্থান করা, হামলা, হুমকি ধামকি সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের প্রতিহত করার সময় ছাত্রলীগের হয়ে কাজ করে গেছে এদের অনেকেই। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এদের বেশ কয়েকজনকে বিভাগ থেকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারপরও স্বৈরাচার সরকারের দোসররা কিভাবে নতুন পরিচয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে এর কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ছাত্রদলের নেতাদের সাথে সখ্যতা বা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে আন্দোলন পূর্ববর্তী সময়ের অপকর্ম ঢাকতে ছাত্রদল, জিয়া সাইবার ফোর্স, জিয়ার সৈনিক এমন নানান রকম সংগঠনের নামে ছাত্রদলে অনুপ্রবেশ করার অপচেষ্টা করছে তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আশংকা প্রকাশ করে বলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে থেকে আমরা অনেকেই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম কিন্তু এখন একটা বিষয় দেখে খুব অবাক লাগে যে মানুষ গুলো সরাসরি অভ্যুত্থানের বিরোধীতাকারী ছিল, হামলা এবং হত্যার সমর্থন করে গেছে এরাই এখন ক্যাম্পাসে ছাত্রদলে ভিড়ে চলাচল করছে, তাদের বিভিন্ন মিটিং মিছিলে অংশ নিচ্ছে।বড় বড় নেতাদের সাথে ছবি আপলোড দিচ্ছে কিন্তু এখনো অনেকের ভিডিও, অডিও এবং আন্দোলনের সময় বিরোধীতা করার বিভিন্ন কথপোকথনের স্ক্রীনশট সহ উপযুক্ত প্রমাণ আছে। যেখানে নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীদের বিচার হওয়ার কথা সেখানে এখন অনুপ্রবেশ করার মাধ্যমে অবাধে চলাফেরা করছে। এগুলো নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

শিক্ষার্থীরা আরো জানান - শুধুমাত্র কর্মী বাড়ানো বা কোনো নেতার ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থের লক্ষ্যে যেন ছাত্রলীগের ক্যাডারদের আশ্রয় না দেওয়া হয় এজন্য সকল ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দলকে সচেতন হতে হবে। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি বিরোধীতাকারী এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কাউকে কোনো অবস্থাতেই ছাত্রদলে ঠাঁই দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন।

তিনি বাংলাদেশ মোমেন্টসকে বলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে যারাই দাঁড়িয়েছিল আমাদের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে তাদের কোনো স্থান নেই। অনেক সময় তথ্যের ঘাটতিতে ভুলেও কাউকে আমাদের সাথে মেশার চেষ্টা করছে দেখলে আমাদের অবগত করবেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সমর্থক, কর্মী, নেতাদের আমরা কখনোই দলের ছায়াতলে নিব না। নেওয়ার ক্ষমতাও আমাদের নেই। আমরা নিয়মিত যাচাই করি, তারপরেও, যদি কোনো অপরাধীর সন্ধান পান আমাদের জানাবেন।এই আন্দোলনে যাদের হাতে নিহত, আহত হয়েছি, হুমকি ধামকি পেয়েছি, তাদেরকে পুনর্বাসনের কোনো প্রশ্নই আসেনা।