ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ফি কমানোর দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিলো শিবির
- ঢাবি প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৬ PM , আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৬ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) শাখা শিবির সভাপতি সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ২৯ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা এবং আইবিএ ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা, যা শিক্ষার্থীদের জন্য সংকুলান করা খুবই কষ্টসাধ্য।
বিগত সালের পরীক্ষার ফি উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ছিল ৩৫০ টাকা। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ১০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৪৫০ টাকা। এরপর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে আরও ২০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৬৫০ টাকা। পরে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ফি আরও ৩৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়। পরের বার ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে আবেদন ফি ছিল ১ হাজার টাকা। এরপর ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আবেদন ফি আরও ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০ টাকা করা হয়েছে।
৫ বছরের ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ফি বাড়ছে তিনগুণ যা সংখ্যায় ৭০০ টাকা। পত্রিকার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, শুধু এক শিক্ষাবর্ষের (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষা থেকেই ১৭ কোটি টাকা 'লাভ' করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। ক্রমান্বয়ে প্রতি শিক্ষাবর্ষেই আবেদন ফি বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রতি অতিরিক্ত আবেদন ফি এর বোঝা চাপানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য।
উপাচার্যের উদ্দেশে ঢাবি শাখা শিবির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর পরিবার দরিদ্র-মধ্যবিত্ত। এর মধ্যে ১০ শতাংশের অধিক শিক্ষার্থীর পরিবার হতদরিদ্র। এসব শিক্ষার্থীর পরিবারের মাসিক আয় ৪ হাজার টাকার কম। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক অবস্থা এই পরিসংখ্যান থেকে সহজেই অনুমান করা যায়।
প্রতি শিক্ষাবর্ষেই আমরা পত্রিকায় দেখি শিক্ষার্থীরা ধারদেনা করে, বাড়ির গবাদিপশু, জমি ইত্যাদি বিক্রি করার মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি ও ভর্তি ফি'র ব্যয় সংকুলান করে থাকেন। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত আবেদন ফি নির্ধারণ করা শিক্ষার্থীদের উপর এক ধরনের জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া জুলুম বলে মনে করছি। অনতিবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমিয়ে শিক্ষার্থীদের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসার দাবি জানায় সংগঠনটি।