রবি'র অর্থনীতি বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

রবি
  © টিবিএম

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) অর্থনীতি বিভাগের ৭ম ব্যাচের নবীনবরণ ও ১ম ব্যাচের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর উদয়ন কনফারেন্স হলে ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের বরণ ও ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান বিজন কুমারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস এম হাসান তালুকদার, বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ বক্তব্য রাখেন। 

ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া রবীন্দ্রনাথের শান্তি নিকেতন প্রতিষ্ঠার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছাতিম গাছের নিচে বসে শান্তি নিকেতনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য উপাচার্য স্যারকে নির্ভিঘ্নে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। রবীন্দ্র বিশবিদ্যালয় আমাদের মননে, মগজে, চেতনায়, চৈতন্যে। এসময় তিনি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন করার কথা বলেন এবং সকলের ইচ্ছা, সাফল্যের পূর্ণতা কামনা করেন।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার বিদায়ী শিক্ষার্থীদের নতুন স্তরে প্রবেশের জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা টিচার নই; মুহাম্মদ (সঃ), বুদ্ধ, প্লেটো, অ্যারিস্টটল এরা হলেন টিচার। ওনাদের কাছ থেকে শিখেই আমরা শিখাই। সব বাবারই বড় সন্তান অনাদরে থেকে যায়। তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচ। তোমাদের দু'বছর সেশনজটে কেটেছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। 

উপাচার্য এসময় নিজের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তোমরা নিশ্চিয় মেধাবী, সৃজনশীল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়বে তোমাদের মাধ্যমে। তোমরা সব সময় খেয়াল রাখবা যেন কখনোই নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং নির্যাতিত ব্যক্ত তার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।

এসময় উপাচার্য প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন করার জন্য রুম বরাদ্দের কথা জানান এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি অগাধ ভালবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও এসময় বিভাগটির চেয়ারম্যান বিজন কুমার, সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। পরিশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।